|
বয়স কোন বাধা মানে না ..বরের বয়স ৮০, কন্যার ৭০ বছর !
আজকের কলারোয়া -
10/06/2020
বয়স কোন বাধা মানে না, নিজের ইচ্ছা থাকলে সবই সম্ভব! আর এই বাধা পেরিয়ে করোনা মহামারীরর মধ্যেও বিবাহ বন্ধনে আবদ্ধ হলেন সাতক্ষীরার শ্যামনগর উপজেলার কৈখালী ইউনিয়নের পরানপুর গ্রামের বাসিন্দা ইসহাক আলী তরফদার (৮০) ও একই ইউনিয়নের নৈকাটি গ্রামের আনোয়ারা বেগম ওরফে ইলে বেগম। শুরু করেছেন নতুন জীবন। গত রোববার (৭ জুন) ইসলামি শরিয়াহ মতোবেক পারিবারিকভাবে তারা বিবাহবন্ধনে আবদ্ধ হন।
স্থানীয় বাসিন্দা শেখ আলমগীর হোসেন জানান, উভয়ের সম্মতিতে পারিবারিকভাবে বিয়ে হয়েছে। ইসহাক আলী তরফদারের এটা তৃতীয় ও আনোয়ারা বেগম ওরফে ইলে বেগমের এটি দ্বিতীয় বিয়ে। বিয়ের পর মোটরসাইকেলে চড়ে লাল বেনারশি শাড়ি পরে হাসিমুখে স্বামীর বাড়িতে গেছেন ইলে বেগম। এলাকার অনেক মানুষ এ সময় উপস্থিত ছিলেন।
বিবাহ বন্ধনে আবন্ধ হওয়ার ব্যাপারে ইসহাক আলী তরফদার বলেন, এটি আমার তৃতীয় বিয়ে। বড় স্ত্রী মারা গেছে। তারপরের স্ত্রী চলে গেছে। সেই থেকে অনেক বছর আমি একা থাকি। প্রতিবেশীরা আমার কষ্ট দেখে বিভিন্ন সময় বলে, চাচা বিয়ে করো আরেকটা। এরপর প্রতিবেশীরা দেখেশুনে বিয়ে দিয়েছে।
তিনি বলেন, আগের স্ত্রীর পক্ষের তিন ছেলে ও দুই মেয়ে রয়েছে। তারা আমার সঙ্গে থাকে না। ছেলেরাও গরিব। আমি অসহায় কেউ দেখে না। কষ্টের মধ্যে দিন কাটে। দেখাশুনার লোক নেই। তাই পারিবারিকভাবেই বিয়ে করেছি। নতুন বউ আমার দেখাশুনা করছে। তারও একটু বয়স বেশি। তাতে কোনো সমস্যা নেই। আমাকে সহযোগিতা করে চালিয়ে নিচ্ছে।
ইসহাক আলী তরফদার বলেন, আম্ফান ঝড়ে আমার থাকার ঘরটি ভেঙে গেছে। বৃষ্টির সময় ঘরে থাকা যায় না।
কৈখালী ইউনিয়ন পরিষদের পরানপুর গ্রামের গ্রাম পুলিশ নিশিকান্ত মন্ডল বলেন, আমি তাদের বাড়িতে গিয়ে দেখে এসেছি। ওই বৃদ্ধ ও বৃদ্ধা বিয়ে করে সুখেই আছেন। তবে তাদের ঘরটি ভাঙাচোরা। একটি নতুন ঘর হলে ভালো হতো।
কৈখালী ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান শেখ আব্দুর রহিম বলেন, বিষয়টি বিয়ের পর আমি জেনেছি। প্রতিবেশীরা মিলে তাদের বিয়ে দিয়েছে। খোঁজ নিয়ে জেনেছি বিবাহবন্ধনে আবদ্ধ হয়ে ওই দম্পতি ভালো আছেন।
|