|
|
মানচিত্রে কলারোয়া
বৃহত্তর মানচিত্র দেখুন
স্থাপনকাল:১৪-০৯-১৯৮৩ ইং
সীমানা:উত্তরে- যশোর জেলার শার্শা উপজেলা, পূর্বে- সাতক্ষীরা জেলার তালা উপজেলা, দক্ষিণে- সাতক্ষীরা সদর থানা ও পশ্চিমে- ভারতের পশ্চিম বঙ্গ।
আয়তন:২৩২.৬৪ বর্গ কি.মি.
ভৌগলিক অবস্থান:২২°৪৮´- ২২°৫৭´উত্তর দ্রাঘিমাংশ এবং ৮৮°৫৪´-৮৯°০৯´পূর্ব অক্ষাংশের মধ্যে অবস্থিত।
জেলা সদর হতে দূরত্ব:১৮ কি.মি.
লোকসংখ্যা:২৬২৩৯৩ Population Statement of Satkhira District(Up to 2009)
পুরুষ মহিলার অনুপাত:১:০৬
জনসংখ্যার ঘনত্ব:৭৮৬
শিক্ষার হার:৪৫.৬৬%
নদ নদীর সংখ্যা ও নাম:৪টি,কপোতাক্ষনদ, বেত্রাবতী নদী, সোনাই নদী ও ইছামতি নদী
খালেরসংখ্যাওনাম:৬টি,নৌখাল, লস্কারখাল, বৈদ্যপুরখাল, দরবাসা খাল, শ্রীরামপুর খাল, ভাদিখালী খাল ও চানমল্লিক খাল
বিলেরসংখ্যাওনাম:১টি,কচুয়া বিল
ঐতিহাসিক স্থান:২টি,সোনাবাড়ীয়া মঠবাড়ী, কোঠাবাড়ীয়া (কোঠাবাড়ীদূর্গ)
গুরুত্বপূর্ণমুক্তিযুদ্ধ:বেলেডাঙ্গা যুদ্ধ
মুক্তিযোদ্ধার সংখ্যা:২০০জন
কৃষিআবাদিজমির পরিমাণ:
মোট আবাদী জমির পরিমাণ ৩৬,২৬২ একর ,
এক ফসলী জমিরপরিমাণ ১০,১০৭ একর
দুফসলীজমিরপরিমাণ ১৮,২৪৩ একর
তিন ফসলীজমিরপরিমাণ ৮০০২ একর
নার্সারী:১৫টি
জলমহাল:০২ টি
পুকুর:৭৮০০
মত্স্যউত্পাদন (টন):২১৭১
মত্স্যঘেরের সংখ্যা:৪৬৫
উত্পাদিত মাছের পরিমাণ:২১৭১ টন
উত্পাদিত মাছের নাম:রুই, মৃগল, কাতল, চিংড়ি
বিদ্যুতায়িত গ্রাম:৭৩ টি
বিদ্যুতায়িত বাড়ি:১১,১৫৫ টি
ইট ভাটার সংখ্যা:১০
ব্যাংকের সংখ্যা ও নাম:মোট ০৯টি, সোনালী, রুপালী, কৃষি, ইসলামি, গ্রামীণ ও ব্রাক
প্রধানডাকঘর:০১টি
শাখাডাকঘর:২১টি
টেলিফোনলাইন:৭৪টি
শিক্ষা প্রতিষ্ঠান:৩৫৭টি
সরকারি কলেজ:০১টি
বেসরকারি কলেজ:০৯টি
সরকারি মাধ্যমিক বিদ্যালয়:
বেসরকারি মাধ্যমিক বিদ্যালয়:ক. বালক- ৩০টি,খ. বালিকা- ১০টি
সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়:৬৭টি
বেসরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়:৪৪টি
কমিউনিটি প্রাথমিক বিদ্যালয়:১২টি
কামিল ওফাজিল মাদ্রাসা:কামিল- নাই, ফাযিল- ৩টি,দাখিল মাদ্রাসা ৩৩ টি, এবতেদায়ী মাদ্রাসা ৩৬টি
কিন্ডার গার্টেন:০৬টি
বিশ্ববিদ্যালয়:নেই
বিশ্ববিদ্যালয়কলেজ:নেই
মেডিকেল কলেজ:নেই
টিচার্স ট্রেনিংকলেজ:০২টি
পিটিআই:নেই
ধর্মীয় প্রতিষ্ঠান:মসজিদ ৩৫৯টি,মন্দির ০৮টি
পাঠাগার:০৩টি
ক্লাব:১৬টি
স্বাস্থ্যবিষয়ক:হাসপাতাল ০১টি, ইউনিয়ন স্বাস্থ্যও পরিবার কল্যাণ কেন্দ্র ১১টি,কমিউনিটি ক্লিনিক ১২টি,উপ- স্বাস্থ্যক্লিনিক নেই
জন্মহার:১.৪৫%
মৃত্যুহার:০.৬২%
এমবিবিএস ডাক্তারের সংখ্যা:১২ জন
বেসরকারী হাসপাতাল:নেই
বেসরকারী ক্লিনিক:০৯টি
প্যাথলজির সংখ্যা:০৫টি
সমবায়সমিতিসংক্রান্ততথ্যাদি:
সমবায় বিভাগের বহুমুখী সমিতি ১২টি
সমবায় বিভাগের কৃষক সমিতি ৫৭টি
সমবায় বিভাগের মত্স্যজীবী সমিতি ০২টি
বিআরডিবি
কেন্দ্রিয় সমবায় সমিতি ০১টি
কৃষক সমবায় সমিতি ১৭৩টি
বৃত্তহীন সমবায় সমিতি নেই
পদাবিকের সমবায় সমিতি নেই
দারিদ্র্যবিমোচন ফাউন্ডেশনের আওতায় সমিতির সংখ্যা ৯৯টি
সদস্য সংখ্যা -৩৯৪৬জন
এনজিও-র সংখ্যা:১০টি
উল্লেখযোগ্যকৃষিফসল:ধান, পাট, গম, আলু ও সজ্বি
ইউনিয়নভূমিঅফিসেরসংখ্যা:০৭টি
আশ্রয়নপ্রকল্প:০১টি
আবাসন প্রকল্প:০১টি
আদর্শগ্রামপ্রকল্প:০২ টি
পুনর্বাসিত পরিবারপ্রকল্প:নাই
পানীয় জলের নলকূপ সংখ্যা:গভীর নলকূপ(চাষের জন্য) ৪০৬টি,অগভীর নলকূপ(চাষের জন্য) ৪৮০টি
রাস্তাঘাট (কিঃমিঃ):পাকা ১৩৭.৫৭ কি.মি.,কাঁচা ৫৭৪.৪৭কি.মি.,এইচবিবি ৯.৪৭কি.মি.,নদীপথ (নটিক্যাল মাইল) ৭৩.৬১ কি.মি.
উল্লেখযোগ্য পুরাকীর্তি:
কলারোয়া উপজেলার সোনাবাড়িয়া ইউনিয়নে সোনামন্দির নামে একটি মঠ মন্দির আছে। |
|
কলারোয়া উপজেলার ভৌগলিক অবস্থান উত্তর অক্ষাংশের ২২°৪৮' এবং ২২°৫৭' এর মধ্যে ৮৮°৫৪' এবং ৮৯°০৯' পূর্ব দ্রাঘিমাংশের মধ্যে অবস্থিত। এ উপজেলার উত্তরে যশোর জেলার শার্শা ও ঝিকরগাছা উপজেলা, দক্ষিণাংশে সাতক্ষীরা সদর ও তালা উপজেলা, পূর্বে যশোর জেলার কেশবপুর ও মনিরামপুর উপজেলা ও পশ্চিমে ভারতের ২৪ পরগনা জেলা। |
|
উপমহাদেশের ইতিহাস কলারোয়ার স্থান অত্যন্ত গৌরবজনক বিধায় কলারোয়া বাংলাদেশের দেশপ্রমিক সচেতন মানুষের নন্দিত জনপদ। কলারোয়ার নামকরণের ইতিহাস প্রবীণদের কাছ থেকে ও বিভিন্ন তথ্য উদ্ঘাটনের মাধ্যমে জানা যায় যে, ঊনবিংশ শতাব্দীর প্রথমার্ধে বর্তমান কলারোয়ার পশুহাটের উত্তর-পশ্চিম পার্শ্বে মিলঘরের পিছনে ইংরেজদের নীল কুঠি ছিল। অত্যাচারী নীলকর সাহেবদের বল্গাহীন নির্যাতন ও শোষণের সময় জমিদার রাণী রাশমনির নায়েব ছিল শ্রী মোহন ঘটক। হোসেনপুর পরগণার জমিদার কলিকাতা কর্পোরেশন স্ট্রীটে বসবাসকারী রানী রাশমনির কাছে একদা নায়েব শ্রী মোহন ঘটক হিসাব নিকাশ দাখিল করার জন্য উপস্থিত হন। রানী রাশমনির বড় মেয়ে রানী জগদম্বাও মায়ের সাথে কলিকাতায় পিতৃগৃহে একত্রে বসবাস করতেন। এদিকে নীলকর সাহেবদের অমানুষিক ও অসহ্য নির্যাতন ও অত্যাচারে অতিষ্ঠ এলাকার বিশেষ বিশেষ লোকজন ও কৃষকরাও নীলকর সাহেবদের অত্যাচারের প্রতিকারের প্রার্থনা নিয়ে জমিদার রানী রাশমনির বাসভবনে উপস্থিত হন। এ সময় রানী জগদম্বাও উপস্থিত ছিলেন। রানী জগদম্বার নায়েব শ্রী মোহন ঘটকের দৃষ্টি আকর্ষন করে এর প্রতিকারের কোন ব্যবস্থা এ যাবৎ গ্রহণ করা হয়েছে কি না জানতে চান। নায়েব শ্রী মোহন ঘটক নীলকর সাহেবদের এহেন চরম অত্যাচারকে মনে মনে ঘৃণা করতেন। কিন্তু মনোবল ও জনবলের অভাবে তিনি সরাসরি কিছু করতে পারতেন না। নায়েব একজন স্বাধীন্তা ব্যক্তি ছিলেন।
উপস্থিত বিশেষ বিশেষ ব্যক্তিবর্গ এবং কৃষকরা নায়েব সাহেবের কাছে নীলকরদের অমানবিক অত্যাচারের বিরুদ্ধে প্রতিকার ও প্রতিবাদের প্রার্থনা জানালেও কোন ফল হয়নি বলে জানান। কৃষকরা নায়েবের উপর দোষারোপ করেন। তখন রানী জগদম্বা নৈতিক সাহসের অভাব হেতু কাপুরুষতার জন্য নায়েব শ্রী মোহন ঘটককে তার মুখের উপর পুরুষ মানুষের পরিবর্তে "মেয়ে মানুষ" বলে আখ্যায়িত করেন। রানী জগদম্বার কাছ থেকে "মেয়ে মানুষ" উপাধি পেয়ে রাগে, ক্ষোভে, দুঃখে জেদি নায়েব শ্রী মোহন ঘটক মনে মনে দৃড় সংকল্প নিয়ে হোসেনপুর (বর্তমান কলারোয়া) ফিরে এলেন। এবার তিনি বিশিষ্ট ব্যক্তিবর্গ ও কয়েক শত কৃষকদের নিয়ে পরিকল্পনা মোতাবেক একদা রাতে নীলকুঠিতে অতর্কিত হামলা ও আক্রমণ চালিয়ে নীলকুঠি ভবনটি সম্পূর্ন রুপে ভেঙ্গে চুরমার করে বিধধস্ত করলেন। ধংসাবশেষ পাশ্ববর্তি বেত্রাবর্তী নদীতে ডুবিয়ে দেওয়া হল। তার পর কয়েকখানা লাঙ্গল দিয়ে ঐ রাতেই নীনকুঠি ভবনের উপর চাষ করা হল। সঙ্গে সঙ্গে মই দিয়ে মাটি সমান করে অসংখ্য কলাগাছ রোপণ করা হল। রোপনকৃত কলাবাগানের প্রবৃদ্ধি দেখে সবাই মুগ্ধ হলেন এবং অধিক সংখ্যক নানা জাতের কলাগাছ সেখানে রোপণ করা হয়। কলাগাছ রোয়া থেকে প্রথমে হোসেনপুর কলারুয়া এবং আরও পরে কলারোয়া নামে পরিচিতির মাধ্যমে আর্তপ্রকাশ ঘটে। অসংখ্য কলাগাছ রোয়ার পর একই রাতে নায়েব শ্রী মোহন ঘটক তার দলবল সহ বত্রিশদাড়ি মাঝি মাল্লা নিয়ে ভোরে কলিকাতা কর্পোরেশনে স্ট্রীটে জমিদার রানী রাশমনির বাসভবনে উপস্থিত হলেন। নায়েব জমিদার রাশমনিকে ঘটনার বিস্তারিত জানালেন। জমিদার রানী রাশমনির তৎকালীন ছোট লাট ও বিভাগীয় কমিশনারকে ব্যবস্থা গ্রহণের জন্য ঘটনাটি সম্যখ অবহিত করলেন। হোসেনপুরে নীলকুঠির অস্থিত্ব তখন সম্পূর্ন বিলীন হয়ে যাওয়ায় ব্রিটিশ সরকার হোসেন পুর (কলারোয়া) থেকে নীলকুঠি প্রত্যাহার করলেন। তবে নীল চাষ বন্ধ হয়নি।
পরবর্তীতে হোসেনপুরের নীলকর সাহেবরা নায়েব শ্রী মোহন ঘটক সহ কয়েক জনের বিরুদ্ধে কোর্টে মামলা করে।জমিদার রানী রাশমনি, রানী জগদম্বা, ছোট লাট ও বিভাগীয় কমিশনার আদালতে সাক্ষি দিলেন। মামলার পক্ষে স্বাক্ষী যথাযত না পাওয়ায় অভিযোগ সত্য প্রমানিত হয়নাই। ফলে নীলকর সাহেবদের মামলার পরাজয় ঘটে। প্রকাশ থাকে পাকভারত উপমহাদেশ ইংরেজদের বিরুদ্ধে সর্বপ্রথম কলারোয়া থানা পিছলাপোল ও কুশোডাঙ্গা গ্রামের চাষীরা নীলচাষের বিরুদ্ধে বিদ্রোহ ঘোষনা করে।
পরিশেষে আমরা বলতে পারি- কপোতক্ষ, বেত্রবতী, ইছামতি, সোনাই, বিধৌত আম, জাম, নারিকেল, খেজুর, তরুরাজির অপরূপ সবুজ শ্যামলিমায় সমৃদ্ধ, বহু পীর কামেল ও আধ্যাত্মিক পুরুষের পূণ্যস্থান কেড়াগাছি যবন হরিদাসের জন্মস্থান। কৈশরের ক্রীড়া ক্ষেত্র, মানুষের স্বপ্ন রাজ্য ও কর্মস্থল, নীলবিদ্রহের পীঠস্থান, মুক্তিযুদ্ধীর অন্যতম দূর্ভেদ্য দূর্গ, জাতীয় ও আর্থ- সামাজিক উন্নয়ন কর্মকান্ডের প্রানকেন্দ্র কলারোয়ার অতীত ও বর্তমান অত্যান্ত ঐতিহ্যমন্ডিত ও গৌরবময় । এই ছোট্ট জনপদ উপমহাদেশের খ্যাতনামা পীরে বিদ্যুৎ সাহীদের অশেষ অবদানে শিক্ষা ও সংস্কৃতি অঙ্গনে কলারোয়া যেন আমাদের স্বপ্নের ইন্দ্রপুরী। কলারোয়ার মানুষ তাই আজ সৃষ্টি সুখের উল্লাসে মেতে উঠেছে।
তাই কবির ভাষায় বলতে হয়-
"মাথার পরে নীল চাদোয়া
শস্য-শ্যামে গা-নাওয়া
চোখ জুড়ানো মন ভুলানো
স্বর্গপমা কলারোয়া" |
|
ইউনিয়নের নাম
১ নং জয়নগর ইউনিয়ন পরিষদ
২ নং জালালাবাদ ইউনিয়ন পরিষদ
৩ নং কয়লা ইউনিয়ন পরিষদ
৪ নং লাঙ্গলঝাড়া ইউনিয়ন পরিষদ
৫ নং কেঁড়াগাছি ইউনিয়ন পরিষদ
৬ নং সোনাবাড়ীয়া ইউনিয়ন পরিষদ
৭ নং চন্দনপুর ইউনিয়ন পরিষদ
৮ নং কেরালকাতা ইউনিয়ন পরিষদ
৯ নং হেলাতলা ইউনিয়ন পরিষদ
১০ নং কুশোডাঙ্গা ইউনিয়ন পরিষদ
১১ নং দেয়াড়া ইউনিয়ন পরিষদ
১২ নং যোগিখালী ইউনিয়ন পরিষদ |
|
|