|
দাম যাই হোক তা না হলে গরু বাঁচানো যাবে নাকলারোয়ায় বিচুলির দাম চড়া, বিপাকে খামারিরা
কৃষি -
05/04/2018
কলারোয়ায় বিচুলির দাম চড়া হওয়ায় বিপাকে পড়েছেন গরুর খামারিরা। বর্তমানে গো- খাদ্য হিসেবে খড় বা বিচুলির দাম আকাশ ছোঁয়া হওয়া উপজেলার বিভিন্ন অঞ্চলেরর গরুর খামারিদের মাথায় হাত। খড়ের দাম এভাবে বাড়তে থাকলে খামারিদের খামার বন্ধ করে দেয়া ছাড়া আর কোনো উপায় থাকবে না- এমনটাই মনে করছেন।
সরেজমিনে বিভিন্ন হাটবাজার ও খামার ঘুরে দেখা গেছে- অনেক খামারি কোনো চাকরি না পেয়ে আশায় বুক বেঁধে গরুর খামার শুরু করেছে, শুরুতে ভালোই চলছিল খামার কিন্তু বর্তমানে খড়সহ বিভিন্ন গো- খাদ্যের দাম চড়া হওয়ায় তারা ভাবছে খামার বাদ দিয়ে অন্য পেশায় চলে যাবে।
উপজেলায় খোরদো হাটে গিয়ে দেখা গেছে- গত বছর এ সময় মাঝারি আকারের ধানের খড় বা বিচুলির দাম ছিল পোন (৮০)টি প্রতি ১০০-১২০ টাকা অর্থাৎ এক কাউন ১৯০০-২০০০ টাকা। বর্তমানে প্রতি কাউন বিচুলির দাম ৩৫০০-৪০০০ টাকা। অন্যদিকে ভূষি ওষুধের দামও বেড়েছে। খড়ের দাম চড়া হওয়ায় অনেকেই খড় না কিনে বাড়ি ফিরছেন।
হাটে খড় কিনতে আসা খোরদো গ্রামের রমেশ কুমার জানান- ধানের বিচুলির এত দাম যে গরু পোষা দুরুহ হয়ে পড়েছে। তার দুটি গরু বর্গা (আদি) নিয়ে লালন-পালন করছেন। তার অনেক আশা ছিল গরুগুলোকে একটু স্বাস্থ্যবান করে বকরা ঈদে (ঈদুল আজহা) সময় বিক্রি করে বাড়তি কিছু আয় করার বর্তমানে গরুর খাবারের যে দাম তাতে সেটা আর হবে না, এখনই গরু দুটি বিক্রি করা ছাড়া আর কোনো উপায় নাই।
পাটুলীয়া গ্রামের খামারী উত্তম কুমার ঘোষ ১৫(পনের) কাউন বিচুলি কিনেছে ৬০ হাজার টাকায়।
তিনি জানান- দাম যাই হোক তার খামারে ফ্রিজিয়ান ২২টি গরুর খাবার তাকে কিনতেই হবে। তা না হলে গরুগুলো বাঁচানো যাবে না। অন্য খামারি পিছলাপোল গ্রামের আরশাফুল ইসলাম জানান, গত বছর বন্যার কারণে ধানক্ষেত ব্যাপক ক্ষতি হওয়ায় এবারের ধানের খড়ের দাম এত বেশি।
|