|
সোনালী ব্যাংকে জোড়া খুনমামলায় আটক হয়নি কেউ
আজকের কলারোয়া -
16/07/2015
কলারোয়ায় সোনালী ব্যাংকে জোড়া খুনের ঘটনায় থানায় মামলা হয়েছে। তবে মামলাটি ডিবি পুলিশে হস্তান্তর করা হয়েছে বলে জানা গেছে। ব্যাংক ম্যানেজার মনোতোষ সরকার বাদি হয়ে বুধবার মামলাটি (নং-১৮) দায়ের করেছেন। এদিকে চাঞ্চল্যকর এ ঘটনার ২৪ ঘন্টা পেরিয়ে গেলেও পুলিশ কাউকে আটক করতে পারেনি। কলারোয়া বাসস্ট্যান্ড মোড়ে সোনালী ব্যাংকটি একটি জনবহুল এলাকায় অবস্থিত। এরপাশে রয়েছে ইসলামী ব্যাংক, ইসলামী ব্যাংক এটিএম বুথ। কলারোয়া বাসস্ট্যান্ডের এই স্থানটিতে সারারাত লোকজন থাকে। রাতভর চায়ের স্টল ও হোটেল খোলা থাকে। এ রকম লোকেশনের একটি ব্যাংকের অভ্যন্তরে কীভাবে এমন দুর্ধর্ষ হত্যাকান্ডের ঘটনা ঘটে, তা অবশ্যই প্রশ্নবোধক। কীভাবে ঘাতকেরা এমনটি জনবহুল স্থান থেকে ঘটনা ঘটিয়ে নির্বিঘেœ পালিয়ে যায়-সেটাও বিস্ময়কর। এছাড়া কলারোয়া শহরের নিরাপত্তা নিশ্চিতকরণের জন্য একজন এসআই ও একজন এএসআই’র নেতৃত্বে পুলিশের একটি টিম ভ্রাম্যমাণ ডিউটিরত থাকে। তারপরেও এঘটনা নির্বিঘেœ ঘটে যাওয়াটা চরম বিস্ময়কর-এমন কথা বলছেন অনেকেই। ঈদের পূর্ব মুহূর্তে যখন পরিবারের সাথে ঈদ উদযাপনের জন্য অপেক্ষমান ছিলেন ওই দুই নৈশ প্রহরী, ঠিক তখনই তাদের খুন হতে হতে হলো। এই নিরীহ দুই নৈশ প্রহরীকে কী জবাব দেবেন-ব্যাংক কর্তৃপক্ষ। যে অস্ত্র নিরাপত্তার জন্য নৈশ প্রহরীদের দেওয়া হয়, রাতে কেন তা ভোল্টে আটকে রাখা হয়-এমন প্রশ্নও দেখা দিচ্ছে। আর কীভাবে ঘাতকেরা ব্যাংকের অভ্যন্তরে প্রবেশ করলো-তাও রহস্যাবৃত থেকে যাচ্ছে। ব্যাংক ম্যানেজার মনোতোষ সরকার বৃহস্পতিবার সাংবাদিকদের জানান, ব্যাংকের ভোল্টের সমুদয় টাকা অক্ষত অবস্থায় রয়েছে। কোনো কাগজপত্রও খোয়া যায়নি। অস্ত্রের বিষয়ে তিনি বলেন, রাতে নৈশ প্রহরীদের কাছে অস্ত্র দেওয়ার কোনো বিধান নেই। এদিকে নিহত দুই নৈশ প্রহরীর শোকসন্তপ্ত পরিবারের সদস্যদের আর্থিক সহায়তা দেয়ার বিষয়ে ব্যাংক কর্তৃৃপক্ষ উদ্যোগ নিচ্ছেন বলে শাখা ব্যবস্থাপক সাংবাদিকদের জানান।
সূত্র -patradoot
|