|
আসন্ন নির্বাচনে সাতক্ষীরা-১ আসনেআ.লীগের মনোনয়ন প্রত্যাশী বিশ্বজিৎ সাধুর মতবিনিময়
আজকের কলারোয়া -
19/09/2017
আগামী একাদশ সংসদ নির্বাচনে সাতক্ষীরা-১ (তালা-কলারোয়া) এর সম্ভাব্য সংসদ সদস্য পদে প্রার্থী হতে চান জেলা কৃষকলীগের সভাপতি, জেলা হিন্দুবৌদ্ধ খ্রিস্টান ঐক্য পরিষদের সভাপতি বিশ্বজিৎ সাধু। তিনি সোমবার সাংবাদিকদের সাথে আলাপকালে তার রাজনৈতিক জীবন তুলে ধরে বলেন, আমি সংসদ সদস্য হিসেবে গত নির্বাচনে মনোনয়নপত্র ক্রয় করেছিলাম, এবারও ক্রয় করব। ১৯৬৮ সাল থেকে শেখ মুজিবুর রহমানকে আগরতলা ষড়যন্ত্রের মিথ্যা মামলায় গ্রেপ্তার করলে বড় ভাইদের সাথে রাস্তায় মিছিল করেছিলাম। ১৯৭৫ সালে সাতক্ষীরা রাজার বাগান কলেজে ছাত্রলীগের বিভিন্ন পদে কাজ করেছি। জাতির জনকের ১৯৭৫ এর ১৫ আগস্ট হত্যার মধ্য দিয়ে শেষ করতে চেয়েছিল আওয়ামী লীগকে। কিন্তু বঙ্গবন্ধুর শাহাদৎ বার্ষিকীতে কাঙালি ভোজের মধ্য দিয়ে বাঙালি জাতি প্রতিশোধের দিন গুণতে থাকে। আমিও তার একজন সৈনিক হিসেবে কাজ করতে থাকি। ১৯৮১ সালে বঙ্গবন্ধু কন্যা দেশে ফিরে আসার পর স্বৈরাচার বিরোধী আন্দোলনের ডাক দিলে আওয়ামী লীগের বিভিন্ন পদে থেকে কাজ করেছি। ১৯৯৮ সাল থেকে ২০০৪ সাল পর্যন্ত জেলা কৃষকলীগের সহ-সভাপতি পদে থেকে সাতক্ষীরা তালা-কলারোয়াসহ জেলার সকল কৃষকের ভাগ্য উন্নয়নে কাজ করেছি। ২০০৪ সাল থেকে জেলার বর্তমান সময় পর্যন্ত কৃষক লীগের সভাপতি পদে থেকে কাজ করে যাচ্ছি।
১৯৯৪ সালে থেকে প্রতিষ্ঠিত কুমিরা মহিলা ডিগ্রী কলেজের দাতা সদস্য হিসেবে বর্তমান সময় পর্যন্ত কলেজের পড়াশুনা ও অবকাঠামো উন্নয়নে কাজ করে যাচ্ছি। কাজ করেছি সভাপতি হিসাবে কুমিরা সরকারী প্রাথমিক বিদ্যালয়ে। অভিভাবক সদস্য হিসাবে কুমিরা মাধ্যমিক বিদ্যালয়ে। সভাপতি পাটকেলঘাটা রেজি: প্রাথমিক বিদ্যালয়। বর্তমান সভাপতি তৈলকুপী দক্ষিণ- সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ে থেকে শিক্ষার উন্নয়নে কাজ করে যাচ্ছি।
সমাজ সেবক হিসেবে কাজ করেছি দুস্থ ও এতিম ছেলে মেয়েদের লেখা পড়ার খরচ, জামা কাপড় প্রদান, স্কুল ও কলেজে অনুষ্ঠান, ক্রীড়া ও সাংস্কৃতিক সংগঠনকে সহযোগিতা প্রদান। অবহেলিত ও শারীরিক অসুস্থ মানুষের কল্যাণে বিশ্বের ১২ লক্ষ রোটারিয়ানের একজন সদস্য হিসেবে রোটারী ক্লাব অব সাতক্ষীরা কাজ করে যাচ্ছি। ১৯৯১ সাল থেকে ১৯৯৮ সাল পর্যন্ত সময়ে পল্লী বিদ্যুৎ সমিতি সাতক্ষীরা পাটকেলঘাটা পরিচালনা বোর্ডের পরিচালক হিসেবে বিদ্যুৎ উন্নয়নে সেচের মাধ্যমে কৃষি ফসল উৎপাদন, শিল্পের উন্নয়নে রাইচ মিলের অগ্রাধিকার সহ বিবিধ কৃষি অর্থনীতিকে বিদ্যুতের সুষ্ঠু ব্যবহারের মাধ্যমে উন্নয়নের চেষ্টা করে গেছি। উল্লেখ্য উক্ত সময়ের মধ্যে দুইবার পরিচালনা বোর্ডের সভাপতির দায়িত্ব পালন করেছি। ব্যবসায়ী সংগঠনের নেতা হিসেবে ভোমরা বন্দর স্থাপনের পর আমদানি-রপ্তানি এসোসিয়েশনের যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক হিসেবে কাজ করেছি। বর্তমানে দায়িত্ব জৈব ও জৈব রাসায়নিক সার বিএফএ ইউনিট ঢাকা কেন্দীয় কমিটি, সভাপতি বাংলাদেশ ফার্টিলাইজার এসোসিয়েশন জেলা শাখার দীর্ঘদিন যাবৎ দায়িত্ব পালন করছি। এছাড়া সভাপতি পাটকেলঘাটা বাজার বনিক সমিতি, উপদেষ্টা খুলনা বিভাগ স্মল এন্ড মিডিয়াম সীড প্রডিউচার এসোসিয়েশন, যশোর।
বঙ্গবন্ধুর সোনার বাংলা তৈরির জন্য গ্রাম থেকে কৃষকদের উদ্বুদ্ধ করার জন্য জলাবদ্ধতা ও বদ্ধ জলাশয়কে পরিস্কার করে উন্নত মানের মৎস উৎপাদন, পুষ্টি, জ্বালানী অক্সিজেন সরবরাহ ও পরিবেশ রক্ষায় ফলজ, বনজ ও ঔষধি গাছ রোপন, ভাল বীজে ভাল ফসলের জন্য উন্নতমানের বীজ উৎপাদন। ফসলের মান ও স্বাদ রক্ষায় রাসায়নিক সারের সাশ্রয়ের জন্য জৈব সার উৎপাদন, কীটনাশক ও রাসায়নিক সার মুক্ত সবব্জি, কলা, ডাল, সরিষা, হলুদ, পেঁপে, লাউ, কুমড়াসহ বহুবিধ ফসল উৎপাদন করে কৃষকদের প্রশিক্ষণের মাধ্যমে উদ্বুদ্ধ করে থাকি।
সারাজীবন জনগণের ভালমন্দ সব কিছুর সাথে যেমন- শিক্ষা, সংস্কৃুতি, ক্রীড়া, খাদ্য নিরাপত্তা ও জলাবদ্ধতা দুরীকরণে সর্বক্ষেত্রে মানুষের পাশে থাকার চেষ্টা করে বঙ্গবন্ধুর সোনার বাংলা প্রতিষ্ঠায় শেখ হাসিনার নির্দেশনা পালন করে যাচ্ছি। আমি মনে করি জনগণ অবশ্যই আমার পাশে থাকবে।
|