|
পাল্টাপাল্টি অনুষ্ঠানে প্রকাশ্য গ্রুপিংএ কলারোয়া আ.লীগ
আজকের কলারোয়া -
16/08/2016
পৃথক অনুষ্ঠান আর কাঙালি ভোজের পাল্টাপাল্টি আয়োজনের মধ্য দিয়ে প্রকাশ্য গ্রুপিং প্রকট রূপ নিয়েছে সাতক্ষীরার কলারোয়া আওয়ামীলীগে। এ বছর ১৫আগস্ট জাতির জনক বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের ৪১তম শাহাদত বার্ষিকীতে জাতীয় শোক দিবস পালনের লক্ষ্যে এ গ্রুপিং প্রকাশ্য দেখা যায়। শুধু উপজেলা সদরেই নয় উপজেলার ১২টি ইউনিয়নের অনেক ওয়ার্ডে এটি লক্ষ্যণীয় ছিল।
উপজেলা পরিষদ চত্বর, জিকেএমকে পাইলট হাইস্কুল চত্বর, বাসস্ট্যান্ডস্থ শ্রমিকলীগের অফিস, যুবলীগের অফিসে পৃথক অনুষ্ঠানের আয়োজন করা হয়। আর উপজেলার লাঙ্গলঝাড়া, কেঁড়াগাছি, কেরালকাতা, কয়লা ইউনিয়নসহ বিভিন্ন ইউনিয়নেও পৃথক অনুষ্ঠান ও কাঙালি ভোজের আয়োজন করে স্থানীয় আ.লীগের দু’টি গ্রুপ। এমনকি এসকল ইউনিয়নের অনেক ওয়ার্ডেও পৃথক স্থানে পৃথক ভাবে পাল্টাপাল্টি অনুষ্ঠান ও কাঙালি ভোজের রান্না করার খবর পাওয়া গিয়েছে। বঙ্গবন্ধুর ভাষন ও দেশাত্মক বোধক গানও মাইকে বাজানো হয় পৃথক স্থান থেকে। তবে এ রিপোর্ট লেখা পর্যন্ত কোন অপ্রীতিকর ঘটনার খবর পাওয়া যায়নি।
উল্লেখ, উপজেলা আওয়ামীলীগের সভাপতি ও সাধারণ সম্পাদকের নেতৃত্বে দু’টি গ্রুপ দৃশ্যমাণ। মুখে স্বীকার না করলেও কর্মকান্ডে প্রতিটি মানুষের কাছে সেটা স্পষ্ট। গত পৌরসভা নির্বাচনকে ঘিরে এ গ্রুপিংএর প্রকাশ্য সূত্রপাত হয়।
এমনকি জাতীয় শোক দিবসের প্রাক্কালে গত কয়েকদিন ধরে উপজেলার বিভিন্ন এলাকায় প্রচারনা চালানো মাইকিংএ গ্রুপিংএর স্পষ্ট রূপ দেখা যায়। সেখানে আ.লীগের উপজেলা সাধারণ সম্পাদক, সাংগঠনিক সম্পাদকদ্বয়, পৌর সভাপতি, ছাত্রলীগ সভাপতির নাম বাদ রেখে তৎনিন্ম নেতাদের নাম উল্লেখ করে অনুষ্ঠানের প্রচারণা চালায় একটি গ্রুপ। একই রূপ ছিল অপর গ্রুপটিও ক্ষেত্রেও।
সবমিলিয়ে দলটির উপজেলা ও ইউনিয়নের ওয়ার্ড পর্যন্ত গ্রুপিং লক্ষ্য করা গেলেও চাঙ্গাভাবও ছিল উল্লেখ করার মতো। মূলদলের বাইরে ছাত্রলীগসহ অঙ্গ ও সহযোগি সংগঠনেও গ্রুপিং প্রত্যক্ষ ও পরোক্ষ রূপে দেখা যায়। সেখানেও ছিল চাঙ্গা ভাব। প্রতিটি কর্মী-সমর্থকদের মাঝেও ছিল এক ধরণের উদ্দীপনা।
তবে উপজেলা যুবলীগ, উপজেলা শ্রমিকলীগে কোন গ্রুপিং এর খবর পাওয়া যায়নি।
|