|
ভুয়া সনদধারী তিন শিক্ষকের বিরুদ্ধেমামলা করার নির্দেশ মাদ্রাসা শিক্ষা বোর্ডের
আজকের কলারোয়া -
19/09/2017
ভুয়া সনদধারী সাতক্ষীরার তিন শিক্ষকের বিরুদ্ধে মামলা করার নির্দেশ দিয়েছে মাদ্রাসা শিক্ষা বোর্ড। তারা হলেন- সাতক্ষীরার তালা মহিলা দাখিল মাদ্রাসার গণিতের সহকারি শিক্ষক মো. কারিমুল ইসলাম, কলারোয়া উপজেলার কাকডাঙ্গা ফাজিল মাদ্রাসার সহকারি শিক্ষক মাসকুরা খাতুন এবং কলারোয়ার ছোট রাজনগর দাখিল মাদরাসার কম্পিউটার শিক্ষক আক্তারুজ্জামান। তিন জনের বিরুদ্ধেই নিবন্ধন সনদ জাল বা ভুয়া হওয়ায় এ নির্দেশ দেওয়া হয়েছে।
জানাযায়, সারাদেশের ১৩৪ জন ভুয়া সনদধারী শিক্ষকের বিরুদ্ধে আইনগত ব্যবস্থা নেয়ার নির্দেশ দেয়া মাদ্রাসা শিক্ষা বোর্ড। যার মধ্যে সাতক্ষীরার এ তিন জন শিক্ষককের নাম রয়েছে। ভুয়া সনদধারী এসব শিক্ষকরা বছরের পর বছর এমপিও ভোগ করে আসছেন। অধিকাংশেরই নিবন্ধন সনদ জাল বা ভুয়া। ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়সহ কয়েকটি বিশ্ববিদ্যালয়ের ভুয়া সনদ দেখিয়ে তারা চাকরি নিশ্চিত ও এমপিওভুক্ত হয়েছেন। দারুল ইহসান বিশ্ববিদ্যালয়ের ভুয়া সনদধারীও রয়েছে তালিকায়। ভুয়া সনদ চিহ্নিত করেছে পুলিশের স্পেশাল ব্রাঞ্চ। এমপিও বাবদ কে কত টাকা নিয়েছেন এবং কত টাকা সরকারি কোষাগারে ফেরত দিতে হবে তা উল্লেখ করা হয়েছে পুলিশের অনুসন্ধান প্রতিবেদনে। পুলিশের কাছ থেকে তালিকা পাওয়ার পর অভিযুক্ত শিক্ষকদের বিরুদ্ধে আইনানুগ ব্যবস্থা নেয়ার নির্দেশ দিয়েছে মাদ্রাসা শিক্ষা বোর্ড।
এদিকে, কলারোয়ার ছোট রাজনগর দাখিল মাদরাসার কম্পিউটার শিক্ষক আক্তারুজ্জামান নিজেকে নির্দোষ দাবি করে বলেন, দুদক থেকে তদন্ত করে প্রতিবেদন দেয়। তারপর আমি সঠিক কাগজপত্র দাখিল করে অভিযোগ থেকে অব্যাহতি নিয়েছি।
অপরদিকে, কলারোয়া উপজেলার কাকডাঙ্গা ফাজিল মাদ্রাসার সহকারি শিক্ষক মাসকুরা খাতুনকে মামলা থেকে বাঁচাতে মাদ্রাসার সুপার মাওলানা মহিউদ্দিন উঠে পড়ে লেগেছেন। তিনি কোন সনদ জাল করে দাবি করে সুপার বলেন, সে আমাদের মাদ্রাসার ছাত্রী ছিল। তার সনদ জালিয়াতির বিষয় আমার জানা নেই।
এ বিষয়ে মাসকুরার সাথে কথা বলেতে চাইলে সুপার বলেন, তার সাথে কথা বলে কি হবে। যা বলার আমার সাথে বলেন। আমি যা বলব সেটাই ঠিক।
তবে, একটি দায়িত্বশীল সূত্রে জানায়, কাকডাঙ্গা ফাজিল মাদ্রাসার সহকারি শিক্ষক মাসকুরা খাতুনকে মামলা থেকে বাঁচানোর নাম করে ইতোমধ্যে সুপার মাওলানা মহিউদ্দিন মোটা অংকের টাকা নিয়েছে।
এ বিষয়ে জানতে তালা মহিলা দাখিল মাদ্রাসার গণিতের সহকারি শিক্ষক কারিমুল ইসলাম মোবাইলে একাধিকবার ফোন করা হলেও তার মোবাইল বন্ধ পাওয়া যায়।
এ বিষয়ে কলোরোয়া উপজেলা মাধ্যমিক শিক্ষা অফিসার মো. আতিয়ার রহমান বলেন, বিষয়টি আমার জানা নাই।
সাতক্ষীরা জেলা শিক্ষা অফিসার ছায়েদুর রহমান বলেন, এ বিষয়ে এখনো কোন নির্দেশনা আসেনি। নির্দেশনা পেলে আইনগত ব্যবস্থা গ্রহণ করবো।
সূত্র -patradoot satkhira
|