|
কলারোয়ায় হলুদ চাষিদের মুখে হাসি
আজকের কলারোয়া -
04/03/2018
কলারোয়া উপজেলার জমিতে লবণাক্ততা বৃদ্ধির কারণে হলুদ চাষে নেতিবাচক প্রভাব পড়ে। এ ছাড়া দাম কমে যাওয়ায় প্রায় দুই যুগ ধরে হলুদ চাষে মন্দা বিরাজ করছিল। এবার তা কাটিয়ে সফল হয়েছেন চাষিরা। ভালো ফলন ও দাম বেশি পাওয়ায় হাসি ফুটেছে প্রান্তিক চাষিদের মুখে।
উপজেলার হাটবাজারে চলছে হলুদের বেচাকেনা। এ ছাড়া অন্য জেলা থেকে পাইকারি ব্যবসায়ীরাও হলুদ কিনছেন।
উপজেলা কৃষি কর্মকর্তা মহাসিন আলীর দাবি, প্রযুক্তির উন্নয়ন ও কৃষি অফিসের সঙ্গে কৃষকদের সমন্বয়ের ফলে এ বছর উপজেলায় হলুদের আবাদ ভালো হয়েছে।
কলারোয়া উপজেলা কৃষি অফিস জানায়, চলতি মৌসুমে এ উপজেলায় ৯০ হেক্টর জমিতে হলুদ আবাদের লক্ষ্যমাত্রা ধরা হয়েছিল। কিন্তু আবাদ হয়েছে এর চেয়েও বেশি।
কৃষি অফিস জানায়, চলতি মৌসুমে উপজেলায় লক্ষ্যমাত্রা ছাড়িয়ে ১০৯ হেক্টর জমিতে হলুদ আবাদ হয়েছে। এ ছাড়া উৎপাদন হয়েছে ১ হাজার ৩৫০ টন হলুদ।
উপজেলার লাঙ্গলঝাড়া ইউনিয়নের কবির, আবুল হোসেন, সোনাবাড়িয়া এলাকার শফিকুল, চান মিয়াসহ চন্দনপুর, হেলাতলা, জালালাবাদ ইউনিয়নের চাষিরা বলেন, আমরা এর আগে হলুদের আবাদ করেছি। কিন্তু ফলন ভালো না হওয়ায় অনেক ক্ষতি হয়েছে। জমিতে লবণাক্ততা বেড়ে যাওয়ায় আগের মতো আর উৎপাদন হয় না। তারা বলেন, দাম বৃদ্ধি পাওয়ায় এ বছর আমরা হলুদ চাষে আগ্রহী হয়ে আবাদ করি। কৃষি অফিসের পরামর্শে সমন্বিত চাষের মাধ্যমে একই জমিতে হলুদের সঙ্গে কয়েক ধরনের সবজির চাষ করি। এতে তদারকিসহ হলুদ চাষে খরচ অনেক কম হয়েছে।
কলারোয়া উপজেলা কৃষি কর্মকর্তা মহাসিন আলী জানান, উপজেলার চাষিরা হলুদ চাষে আগ্রহ হারিয়ে আবাদ বন্ধ করে দিয়েছিলেন। বর্তমানে হলুদের দাম বেশি হওয়ায় কৃষকদের প্রযুক্তিগত বিভিন্ন পরামর্শ ও সমন্বিত চাষের পরামর্শ দেওয়া হয়। এতে ভালো কাজ হয়েছে।
সাতক্ষীরা জেলা কৃষি সম্প্রসারণ অধিদপ্তরের উপ-পরিচালক কাজী আব্দুল মান্নান জানান, উপকূলীয় জেলা হওয়ায় কয়েক বছর ধরে জমিতে লবণাক্ততা বেড়েছে। তিনি বলেন, চাষিদের হলুদ আবাদের ক্ষেত্রে সব সময় প্রয়োজনীয় সহযোগিতা ও পরামর্শ দিয়ে আসছি আমরা।
সূত্র -দৈনিক অমাদের সময়
|