Home
 
সাফল্যের দৃষ্টান্ত স্থাপন
কলারোয়ায় স্বাবলম্বী প্রতিবন্ধী আলাউদ্দীন

আজকের কলারোয়া - 04/03/2018
শারীরিক প্রতিবন্ধি ও পঙ্গুত্বকে হার মানিয়ে সাফল্যের দৃষ্টান্ত স্থাপন করেছেন কলারোয়া উপজেলার আলাউদ্দীন (৩৫) নামের এক ব্যক্তি। নিজের জমিতে তরকারীর চাষ করে দরিদ্রতাকে জয় করেছেন। আর এ সফলতার পিছনে বড় অবদান রেখেছেন তার স্ত্রী পাপিয়া খাতুন (৩০)। অদম্য মনেবলে থাকায় প্রতিবন্ধতাকে পরাজিত করে সাবলম্বি হয়েছেন। আলাউদ্দীন উপজেলার পূর্ব সোনাবাড়িয়া গ্রামের মৃত, আফিল উদ্দীনের ছেলে। জন্মগতভাবে তার বাম পা নিস্ক্রিয় হওয়ায় তাকে ক্রেসের উপর ভর দিয়ে চলেফেরা করতে হয়। বুধবার সকালে পূর্ব সোনাবাড়িয়া গ্রমে যেয়ে দেখাগেছে, আলাউদ্দীন ও তার স্ত্রী দু’জনে মিলে তাদের ১১কাঠা জমিতে লাগানো বেগুন ও স্ববজি ক্ষেত পরিচর্যা করছেন এছাড়া সবজি চাষের পাশাপাশি সোনাবাড়িয়া বাজারে ছোট একটি কাচামালের (তরকারির) দোকান করেছেন আলাউদ্দীন। স্ত্রী পাপিয়া খাতুন জানান, দশ বছর আগে আলাউদ্দীনের সাথে তার বিয়ে হয়। তাদের ৫বছর বয়সী একটি কন্যা সন্তান রয়েছে। তিনি বলেন, বিয়ের পর অর্থ কষ্ট থেকে মুক্তি পেতে আতœাবশ্বাসী স্বামী আলাউদ্দীন নিজের জমিতে কৃষিচাষ শুরু করেন। সে নিজেই মাঠে কাজ করতো। পরে আমিও তার পাশে দাড়িয়ে কাজ শুরু করি। এবং তাকে সহযোগিতা করি একই সাথে সংসারের সকল কাজও আমাকে করতে হয়। তিনি বলেন, আমার স্বামীকে নিয়ে আমি গর্ব করি। দৃড় প্রত্যয়ী আলাউদ্দীন জানান, সরকার প্রতিবন্ধি ভাতা হিসেবে তিন মাস পর পর ১হাজার ৮’শ টাকা দেয় কিন্তু এই টাকায় সংসার চালানো সম্ভব না। সেজন্য তিনি নিজের ১১ কাঠা জমিতে চাষাবাদ করার কাজ শুরু করেন। তিনি বলেন, দুই হাজার টাকা খরচ করে এ বছর জমিতে বেগুন চাষ করেছি। এর মধ্যে ফলনকৃত ৫ হাজার টাকার বেগুন বিক্রয় করেছি। এখনো গাছে বেগুন যে পরিমান বেগুন আছে সেগুলি বিক্রয় করলে আরো ৭/৮ হাজার টাকা পাওয়া যাবে। এছাড়া জমির এক পাশে পটল ও পিয়াজ চাষ করা হয়েছে। তিনি আরো বলেন, জমিতে চাষাবাদ থেকে প্রতিবছর খরচ বাদ দিয়ে কিছু টাকা সঞ্চয়ও করতে পারছি। এছাড়া বাজারে ছোট একটি কাচামালের দোকান দিয়েছি সেখান থেকেও কিছু লাভ হয়। তিনি বলেন, জন্মগতভাবে বাম পায়ে সমস্যা থাকায় আমি মনোবল দৃড় করে কাজ করার সময় আমার স্ত্রীও সহযোগিতা করার জন্য কঠোর পরিশ্রম করছে। বর্তমানে আর্থিক ভাবে সফল হয়েছেন। প্রতিবন্ধিতাকে জয় করা আলাউদ্দীন আমাদের সময়কে বলেন, কারোর কাছে হাত পেতে সাহায্য না নিয়ে নিজের মনোবল ও প্রচেষ্টা থাকলে সব কিছুই জয় করা সম্ভব। এবিষয়ে কলারোয়া উপজেলা কৃষি কর্মকর্তা মহাসিন আলীর দৃষ্টি আকর্ষন করা হলে তিনি জানান, তার বিষয়ে শুনেছি। কলারোয়া কৃষি অফিস তাকে সকল প্রকার সহযোগিতা করবে।


 



গন্তব্য কলারোয়া    
Product Image Product Image


 
    
Copyright : Kalaroa.com, 2019
Email : info@kalaroa.com