Home
 
লিখিত অভিযোগ
কলারোয়ায় কর্মসৃজন প্রকল্পে ব্যাপক দূর্নীতি

আজকের কলারোয়া - 04/03/2018
কলারোয়ায় জয়নগর ইউপি চেয়ারম্যানের বিরুদ্ধে কর্মসৃজন প্রকল্পে দূনীতি, অনিয়ম ও ভুয়া নাম ব্যবহার করে ১ লাখ ২৮ হাজার টাকা উত্তলনের চেষ্টার অভিযোগে উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা বরাবর লিখিত অভিযোগ করা হয়েছে। ঘটনার তদন্তে সত্যতা পাওয়ায় জয়নগর ইউনিয়নের টাকা উত্তোলন বন্ধ রাখা হয়েছে। এদিকে কার্যক্রম শেষে কর্মসৃজন প্রকল্পে অনিয়ম ও দূর্নিতীর অভিযোগ প্রমানিত হওয়ায় ক্ষোভ প্রকাশ করেছেন উপজেলার সুশিল সমাজের প্রতিনিধিরা। তারা দূর্নিতী বন্ধে কলারোয়ার সকল ইউনিয়নে প্রকল্পের কার্যক্রম তদন্ত করে কঠোর পদক্ষেপ নেয়ার জন্য উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তার নিকট আহবান জানিয়েছেন। উপজেলা নির্বাহী অফিস সূত্রে জানাগেছে, উপজেলার জয়নগর ইউনিয়নের বাটরা গ্রামের মৃত, মফেজ সরদারের ছেলে আব্দুল কাদের লিখিত অভিযোগে জানান, স্থানীয় ইউপি চেয়ারম্যান সামছুদ্দিন আল মাসুদ কর্মসৃজন প্রকল্পে অনিয়ম, দূর্নীতি করেছেন এবং ভুয়া নাম দিয়ে ১ লাখ ২৮ হাজার টাকা বিল করে উত্তোলনের চেষ্টা করছেন। অভিযোগে বলা হয়েছে, জয়নগর ইউনিয়নে ৪০ দিনের কর্মসৃজন প্রকল্পে রাস্তায় মাঠি ভরাটসহ বিভিন্ন কাজের জন্য ১’শ ৮৬ জন শ্রমিক নিয়োগ দেয়া হয়। এরমধ্যে ১নং ওর্য়াডে ১৯ জন, ২নং ওর্য়াডে ২২জন, ৩নং ওয়ার্ডে ১৯ জন, ৪নং ওয়ার্ডে ১৯ জন, ৫নং ওয়ার্ডে ১৯ জন, ৬নং ওয়ার্ডে ২৫ জন, ৭নং ওয়ার্ডে ১৮ জন, ৮নং ওয়ার্ডে ২০ জন ও ৯নং ওয়ার্ডে ২৫ জন শ্রমিক কাজের জন্য নির্ধারণ করা হয়। কিন্ত প্রতিদিন কাজে ১৬ জন শ্রমিক কম নেয়া হয়েছে। অথচ ইউপি চেয়ারম্যান এসব শ্রমিকের ভুয়া নামে তাদের কাজ দেখিয়ে বিল করে উপজেলা প্রকল্পে অফিসে প্রেরণ করেছেন এবং উক্ত টাকা উত্তোলনের চেষ্টা করছিলেন। এদিকে উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা লিখিত অভিযোগ পেয়ে উপজেলা প্রকল্প বাস্তবায়ন কর্মকর্তাকে বিষয়টি তদন্ত করার নির্দেশদেন। তিনি সরজমিনে তদন্তে প্রতিদিন কম শ্রমিক দিয়ে কাজ করার বিষয়টি সত্যতা পান এবং উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তার নিকট তদন্ত প্রতিবেদন জমা দেন। জয়নগর ইউনিয়ানের কর্মসৃজন প্রকল্পের সুপার ভাইজার মেহেদি জানান, প্রকল্প বাস্তবায়ন কর্মকর্তা তদন্ত করে কাজে অল্প কয়েকজন শ্রমিক কম পেয়েছেন। তবে সে বিষয়ে সমাধান হয়ে গেছে বলে তিনি জানান। উপজেলার জয়নগর ইউপি চেয়ারম্যান সামছদ্দিন আল মাসুদ দূর্নীতি ও অনিয়ম বিষয়টি মিথ্যা দাবি করে জানান, স্থানীয় একটি কুচক্রী মহল আমার বিরুদ্ধে অপপ্রচার চালাচ্ছে। তিনি বলেন, কর্মসুজন প্রকল্পের কাজের বিষয়ে কেউ তদন্ত করতে আসেনি এবং এসব ঘটনা আমি জানি না। কলারোয়া উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা মনিরা পারভীন ঘটনার সত্যতা নিশ্চিত করে জানান, ৪০ দিনের কর্মসৃজন প্রকল্পের কাজ শেষে বিভিন্ন ইউনিয়ন থেকে অনিয়মের খবর আসছে। তিনি বলেন, জয়নগর ইউনিয়নের চেয়ারম্যান সামছদ্দিন আল মাসুদের বিরুদ্ধে লিখিত অভিযোগ পেয়েছি এবং তদন্ত করা হয়েছে। তদন্তে শ্রমিকের সংখ্যা কম পাওয়া পাওয়ায় জয়নগর ইউনিয়নের টাকা উত্তলন বন্ধ রাখা হয়েছে।


 



গন্তব্য কলারোয়া    
Product Image Product Image


 
    
Copyright : Kalaroa.com, 2019
Email : info@kalaroa.com