Home
 
সোনাই নদীতে ভেসে আসছে ফেনসিডিল, ইয়াবা !
কলারোয়ায় বেপরোয়া হয়ে উঠেছে মাদক সিন্ডিকেট

আজকের কলারোয়া - 09/03/2018
কলারোয়া উপজেলায় বেপরোয়া হয়ে উঠেছে মাদক সিন্ডিকেটের সদস্যরা। প্রতিদিন প্রায় ১০ থেকে ১২ লাখ টাকার বিভিন্ন মাদক ভারত সীমান্ত পেরিয়ে অবৈধ পথে কলারোয়া প্রবেশ করছে। আর এই মাদক সিন্ডিকেটকে সহযোগীতা করছে সীমান্তের কয়েকজন রাজনৈতিক নেতা, অসাধু কিছু বিজিবি ও থানা পুলিশ সদস্য এমন অভিযোগ, কলারোয়া সীমান্তে বসবাসকারী শতাধিক মানুষের। তারা বলেন, প্রতিদিন সন্ধ্যার পর থেকে ভোর রাত পর্যন্ত সীমান্তের সোনাই নদীর ¯্রােতের সাথে ভেসে আসে বস্তা ভর্তি ফেনসিডিল, ইয়াবা, যৌন উত্তেজক ট্যাবলেটসহ বিভিন্ন মরণ নেশা মাদক। উপজেলার শতাধিক স্থানে প্রকাশ্যে রমরমা মাদক বিক্রি হচ্ছে কিন্তু অসাধু কয়েকজন পুলিশের (থানার এস আই আমনুল , এস আই সিরাজ (োরো), এএসআই হাবিব, এএসআই নুর আলী, এএসআই রাসল, এএসআই োপাল, পুলিশ সদস্ দবাষীস) এই মাদক ব্যবসায়ীর সাথে সখ্যতা দেখে উদ্বেগ প্রকাশ করেছেন উপজেলার অবিভাবক ও সুশিল সমাজের প্রতিনিধিরা। তারা যুবসমাজকে রক্ষায় জেলা পুলিশ সুপারের দ্রুত হস্থক্ষেপ কামনা করেছেন। এ দিকে গত কয়েক মাস যাবত কলারোয়া থানা পুলিশ মাদক বিরোধী অভিযান পরিচালনা করে আসছে। ধারাবাহিক এ অভিযানে প্রতিদিনই উদ্ধার হচ্ছে ফেনসিডিল, ইয়াবাসহ বিভিন্ন মাদক একইসাথে আটক করা হচ্ছে ক্ষুদ্র মাদক ব্যবসায়ীদের তবে, প্রকৃত মাদক সিন্ডিকেট সদস্যরা রয়েছে ধরা ছোয়ার বাইরে। খোজ নিয়ে জানাগেছে, মাদক সিন্ডিকটের সদস্যরা নিজেরা বিক্রি না করে টাকার প্রলোভন দেখিয়ে শিশু, যুবক ও গরীব মহিলাদের ব্যবহার করছে এবং তাদের দিয়ে মাদক ব্যবসা পরিচালনা করছে। কৌশল হিসেবে তারা মাদকসেবীদের মোবাইল ফোনের মাধ্যমে কথা বলে নিরাপদ স্থান নিয়ে ফেনসিডিল, ইয়াবাসহ বিভিন্ন নিষিদ্ধ মাদক বিক্রি করছে । এছাড়া কিছু ব্যবসায়ী পুলিশের সাথে সখ্যতা তৈরী করে মাদক বিক্রির পর পুলিশকে তথ্য দিয়ে মাদকসেবীদের আটক ও অর্থ বানিজ্যের সুযোগ করে দেয়ারও অভিযোগ করেছে। উপজেলার সীমান্তবর্তী কেড়াগাছী এলাকার একাধিক ব্যাক্তি নাম প্রকাশ না করার শর্তে জানান, কলারোয়া সীমান্ত এলাকা থেকে মাদক নিয়ে উপজেলার শতাধিক স্থানে রমরমা মাদকের ব্যবসা করছে। এছাড়া সীমান্ত এলাকা থেকে ব্যবসায়ীরা মাদক নিয়ে কাজীরহাট-খোরদো রাস্তা দিয়ে যশোর এবং কলারোয়া-সরসকাটি রাস্তা দিয়ে কেশবপুর, খুলনা, বরিশালসহ বিভিন্ন স্থানে নিরাপদে ুমাদকের চালান নিয়ে যাচ্ছে। সীমান্ত এলাকার বাসিন্দাদের দেয়া তথ্যে জানাগেছে, কলারোয়া পৌর সদরের গদখালী, তুলশীডাঙ্গা, মুরারীকাটি (জোনাকী সিনেমা হল এলাকা), যুগিবাড়ী, ঝিকরা, লাঙ্গলঝাড়া, সাহাপুর, গয়ড়া, হিজলদী, খোরদো, দেয়াড়া, হেলাতলা, কাজিরহাট, বুজতলাসহ উপজেলার শতাধিক স্থানে মাদক ব্যাবসায়ীরা শক্তিশালী সিন্ডিকেট গড়ে রমরমা ব্যবসা করছে। এদিকে মাদক সিন্ডিকেটের সাথে জড়িত থাকার অভিযোগ করা হয়েছে লাঙ্গলঝাড়া ইউনিয়ন আ.লীগের সভাপতি ও স্থানীয় বাজার কমিটির সভাপতি সাহাপুর গ্রামের ডা. রবি’র ছেলে মাদক ব্যবসায়ী লিটন (৩২), (গত দুইদন আগ পুলশ ইয়াবাসহ আটক করছ) লাঙ্গলঝাড়া কারিগর পাড়ার মোকছেদের ছেলে ইনতাজ (৩৫), লাঙ্গলঝাড়া কামারপাড়ার অধিন ওরফে খোকা (৩৫), পশ্চিম পাড়ার কেরামতের ছেলে হাসেম (৪০), উপজেলার চন্দনপুর ইউনিয়নের গয়ড়া এলাকায় রাজিবুল ওরফে রাজিব (২২), ভাদিয়ালী গ্রামের মাদক স¤্রাট ইয়ার আলীর সাংগীর (৩৫), একই গ্রামের মতলেবের ছেলে আজহারুল (৩৪)সহ একাধিক প্রভাবশালী মাদক সিন্ডিকেট পরিচালনা করছে। আর এই সিন্ডেকেটের মাধ্যমে উপজেলায় প্রায় দুই শতাধিক শিশু ও মহিলাদের দিয়ে মাদক বিক্রির কাজ চালিয়ে যাচ্ছে। এরমধ্যে ৩ মাস আগে লাঙ্গলঝাড়া ইউনিয়নের কামারপাড়ার মাদক ব্যবসায়ী অধিন ওরফে খোকার একটি মাদকে চালান ঢাকা ডিবি পুলিশ পিকআপসহ আটক করে। এঘটনায় একই ইউনিয়নের মাহামুদপুর গ্রামের হামিদের ছেলে মাদক ব্যবসায়ী হোসেন (২৮)কে পিকআপের সাথে আটক করে। বর্তমানে সে ঢাকা কেন্দ্রীয় কারাগারে রয়েছে। উপজেলাবাসীর অভিযোগ, সীমান্তে টহলরত বিজিবি সদস্যরা থাকলেও মাদক পানিতে ভেসে আসছে ! প্রতিদিন কয়েক লাখ টাকার মাদক অবৈধ পথে দেশে প্রবেশ করলেও বিজিবি সদস্যরা কোন মাদকের চালান ধরতে না পারায় সাধারণ মানুষ বিজিবির উপর আস্থা হারিয়ে ফেলছে। তারা বলেন, বর্তমান কলারোয়া থানা পুলিশের চলমান মাদক বিরোধী অভিযানে একাধিক সাফল্য থাকলে অসাধু কয়েকজন পুলিশ সদস্যের কারনেএই অভিযান প্রশ্নবিদ্ধ করে তুলেছে। স্থানীয়দের অভিযোগ, অসাধু পুলিশ মাদকের বিরুদ্ধে অভিযানের নামে নিরীহ মানুষকে হয়রানী করছে। মাদক ব্যবসায়ীদের আটক করে মোটা অংকের অর্থের বিনিময়ে ছেড়ে দিচ্ছে। আর এসব কারনে কলারোয়া সীমান্তে মাদক সিন্ডিকেট সদস্যরা বেপরোয়া হয়ে রমরমা ব্যবসা চালিয়ে যাচ্ছে। এ বিষয়ে কলারোয়া থানার অফিসার ইনচার্জ (ওসি) বিপ্লব কুমার নাথ জানান, মাদকের সাথে কোন আপোষ হয়। তিনি উপজেলাবাসীর নিকট অনুরোধ জানিয়ে বলেন, কোন পুলিশ সদস্য এ ধরনের কাজ করলে আমাকে জানাবেন। তিনি বলেন, কলারোয়া উপজেলাকে মাদক মুক্ত করার জন্য ধারাবাহিক অভিযান চলছে। তিনি, মাদক ব্যবসায়ীদের আটকে তথ্য দিয়ে সহযোগিতা করার জন্য উপজেলার সকল শ্রেনী পেশার মানুষের সহযোগীতা কামনা করে বলেন, সকলের সহযোগিতায় কলারোয়া উপজেলাকে মাদক মুক্ত করা হবে।


 



গন্তব্য কলারোয়া    
Product Image Product Image


 
    
Copyright : Kalaroa.com, 2019
Email : info@kalaroa.com