|
কলারোয়া উপজেলার চন্দনপুর ইউনিয়ন ছাত্রলীগেরনবগঠিত আহবায়ক কমিটি বিলুপ্তি ঘোষণা
আজকের কলারোয়া -
23/03/2018
কলারোয়া উপজেলার চন্দনপুর ইউনিয়ন ছাত্রলীগের নবগঠিত আহবায়ক কমিটি বিলুপ্তি ঘোষণা করেছে উপজেলা ছাত্রলীগ।
ওই কমিটিতে সক্রিয় জামাত-বিএনপি পরিবারের সন্তান স্থান পাওয়ায় কমিটির একাধিক যুগ্ম আহবায়ক ও কয়েকজন আ.লীগ, যুবলীগ নেতা ক্ষোভ ও বিষ্ময় প্রকাশ করার খবর বৃহষ্পতিবার প্রকাশিত হওয়ায় শুক্রবার উপজেলা ছাত্রলীগের সভাপতি ইউপি চেয়ারম্যান শেখ ইমরান হোসেন ও সাধারণ সম্পাদক ইলিয়াস হোসেন রাসেল স্বাক্ষরিত এক বিজ্ঞপ্তিতে চন্দনপুর ইউনিয়ন ছাত্রলীগের নবগঠিত আহবায়ক কমিটি বিলুপ্ত ঘোষনা করা হয়েছে।
অতিসম্প্রতি উপজেলার ৭নং চন্দনপুর ইউনিয়ন ছাত্রলীগের নতুন আহবায়ক কমিটি ঘোষনা করা হয়েছিলো। কিন্তু ইউনিয়ন ছাত্রলীগের ওই কমিটিতে ইউনিয়নের বিক্রমপুর গ্রামের জামাত/বিএনপি’র সক্রিয় কর্মী গোলাম রসুলের পুত্র মাহামুদুল হাসান মিন্টুকে যুগ্ন আহবায়ক করায় ছাত্রলীগসহ আ.লীগ, যুবলীগের কয়েকজন নেতারা তীব্র অসন্তোষ ও ক্ষোভ প্রকাশ করেন। বিষয়টি নিয়ে ৮নং ওয়ার্ড আ.লীগের সাধারণ সম্পাদক সিল্টু জানিয়েছিলেন- ‘ছাত্রলীগের নয়া আহবায়ক কমিটির যুগ্ন আহবায়ক মিন্টু কট্টর জামাত/বিএনপি পরিবারের সন্তান, ১৩/১৪ সালেও তারা জামাত/বিএনপির পক্ষে ব্যাপক ভূমিকা রাখে। এখন বাঁচার জন্য হাইব্রিড আওয়ামী সাজছে।’
ইউনিয়ন যুবলীগের সভাপতি ডালিম হোসেন জানিয়েছিলেন- ‘বর্তমান সময়ে এটা কোন ভাবেই মেনে নেয়া যায় না।’
ছাত্রলীগের চন্দনপুর ইউনিয়ন কমিটির সাবেক সাংগঠনিক সম্পাদক ও সদ্য বিলুপ্ত আহবায়ক কমিটির ৩নং যুগ্ন আহবায়ক হিমেল জানিয়েছিলেন- ‘মিন্টুর মত হাইব্রিড নেতা যদি কমিটিতে থাকে তাহলে আমি বা আমরা এই কমিটিতে থাকবো কিনা সন্দেহ আছে।’
বিষয়টি থানা ছাত্রলীগের সভাপতি চেয়ারম্যান ইমরান হোসেন জানিয়েছিলেন- ‘ঘটনার সত্যতা মিললে সাংগঠনিক ভাবে কঠোর ব্যাবস্থা নেওয়া হবে।’ ওই ঘটনার সূত্র ধরে শুক্রবার কলারোয়া উপজেলা ছাত্রলীগের সভাপতি ইউপি চেয়ারম্যান শেখ ইমরান হোসেনের সভাপতিত্বে অনুষ্ঠিত আলোচনা সভায় সাধারণ সম্পাদক ইলিয়াস হোসেন রাসেলসহ অন্যান্য নেতৃবৃন্দ উপস্থিত ছিলেন।
সভায় ৭নং চন্দনপুর ইউনিয়ন ছাত্রলীগের আহবায়ক কমিটির বিরুদ্ধে গুরুত্বর অভিযোগ থাকায় এবং দলীয় ভাবমুর্তি ক্ষুন্ন হওয়ায় উক্ত আহবায়ক কমিটি বিলুপ্তি ঘোষনা করা হয়েছে বলে জানান উপজেলা ছাত্রলীগের সাধারণ সম্পাদক ইলিয়াস হোসেন রাসেল।
এদিকে, মাহমুদুল হাসান মিন্টু বলেন, ‘আ.লীগ, যুবলীগ, ছাত্রলীগের কতিপয় নেতাদের অভিযোগ সম্পূর্ণ মিথ্যা ও ভিত্তিহীন। কারণ আমি ও আমার পরিবার আ.লীগ রাজনীতির সাথে জড়িত। আমার পিতা গোলাম রসুল কখনই জামাত/বিএনপির রাজনীতির সাথে ছিলেন না। আমার সেঝ চাচা গোলাম কিবরিয়া ৮নং ওয়ার্ড আ.লীগের দীর্ঘ ২৫ বছরের সাবেক সাধারণ সম্পাদক হিসেবে দায়িত্ব পালন করেছেন। আমার মেঝ চাচা প্রয়াত বীর মুক্তিযোদ্ধা রবিউল ইসলামও আ.লীগ করতেন। আমার প্রয়াত দাদা ৬০/৬২ সালের ইউনিয়ন প্রেসিডেন্ট মোজ্জেমল হক বিশ্বাস মহান মুক্তিযুদ্ধোর সময় মাইন বিষ্ফোরণে শহীদ হন। আমার চাচাতো ভাই লাভলু, পল্টু ওয়ার্ড আ.লীগের সক্রিয় সদস্য।’
মিন্টু অভিযোগ করে বলেন- ‘স্থানীয় গ্রাম্য রাজনীতির প্রতিপক্ষরা ভুল তথ্য দিয়ে সুবিধা নেয়ার পায়তারা চালাচ্ছে।’
|