|
কলারোয়া সীমান্তে বিজিবির গুলিতে নিহত নজরুলের দাফন
আজকের কলারোয়া -
05/04/2018
কলারোয়ার কেঁড়াগাছি সীমান্তে চোরাকারবারীদের লক্ষ্য করে বিজিবির ছোড়া গুলিতে নিহত চোরাকারবারী নজরুল ইসলামের দাফন সম্পন্ন হয়েছে।
বুধবার ৪এপ্রিল দিবাগত রাত সাড়ে ১১টার দিকে উপজেলার কাকডাঙ্গা গ্রামে পারিবারিক কবরস্থানে তার দাফন সম্পন্ন হয়।
খুলনার একটি বেসরকারি হাসপাতালে মঙ্গলবার সন্ধ্যায় গুলিবিদ্ধ নজরুলের মৃত্যুর পর ব্যাপক লুকোচুরি আর নাটকীয়তার অবসান হয়। বুধবার নিহত নজরুলের ময়না তদন্ত শেষে রাত ১০টার দিকে তার লাশ কলারোয়ার কাকডাঙ্গার বাড়িতে আনে তার স্বজন ও চোরকারবারী দলের সদস্যরা।
নিহত নজরুল ইসলাম (৪২) উপজেলার কেঁড়াগাছি ইউনিয়নের কাকডাঙ্গা গ্রামের মৃত আব্দুর রকিবের পুত্র।
সেখানে কলারোয়া থানার এসআই শরিফুল ময়না তদন্তের কাগজপত্রসহ আনুসাঙ্গিক বিষয়াদী দেখভাল করেন।
এর আগে গুলিবিদ্ধ নজরুলের লাশ রাত ১০টার দিকে একটি এ্যাম্বুলেন্স করে তার বাড়িতে নিয়ে আসা হয়।
উল্লেখ্য, গত রবিবার দিবাগত রাত ১টার দিকে (সোমবার, ২এপ্রিল) উপজেলার কেঁড়াগাছি সীমান্তের আমতলা ঘাট এলাকার এতিমখানার পিছনে একদল চোরাকারবারীদের ধাওয়া করে চোরাচালানী পণ্য আটক করে কাকডাঙ্গা বিওপির টহলরত বিজিবি সদস্যরা। সেসময় বিপুল সংখ্যক চোরাকারবারী দল চোরাচালানী পণ্য ছিনিয়ে নিতে বিজিবির উপর ইট-পাটকেল নিক্ষেপ করে হামলা চালায়। সেসময় বিজিবি আত্মরক্ষার্থে ১রাউন্ড গুলি বর্ষণ করে।
প্রাথমিক ভাবে গুলিতে কোন হতাহতের খবর পাওয়া না গেলেও পরে চোরাকারবারী দলের একাধিক সদস্য জানায়- সেসময় নজরুলের পেটে গুলি লাগে। অত্যন্ত গোপনীয়তার সাথে তাকে উদ্ধার করে খুলনার গাজী মেডিকেল হাসপাতালে ভর্তি করে। সেখানে চিকিৎসাধীন অবস্থায় মঙ্গলবার সন্ধ্যার দিকে সে মারা যায়।
গুলিবর্ষণের ঘটনার পর থেকে নিহত নজরুলের পরিবার বিষয়টি লুকোচুরি ও গোপন রাখলেও মারা যাওয়ার পর বিষয়টি নিশ্চিত হওয়া যায়।
ওই ঘটনার পর কাকডাঙ্গা বিওপির কোম্পানি কমান্ডার সামছুল হক এ বিষয়ে কোন কিছু বলতে রাজি হন নি।
সাতক্ষীরা, ৩৩ বিজিবি ব্যাটালিয়নের অধিনায়ক লে.কর্নেল সরকার মো.মোস্তাফিজুর রহমান জানিয়েছিলেন- ‘ওই দিন রাতে বাগানের ভিতরে ঘুটঘুটে অন্ধকারে চোরাকারবারীদের লক্ষ্য করে গুলি ছোড়া হয়েছিলো। গুলি বর্ষণের পর কারো গায়ে লেগেছিলো কিনা তা নিশ্চিত হওয়ার জন্য ঘটনাস্থলে তছনছ করে খোজা হলেও কাউকে পাওয়া যায়নি। তবে সেখান থেকে টানা পন্য উদ্ধার হয়।’
তিনি আরো জানিয়েছিলেন- ‘বিভিন্ন তথ্যে জেনেছি কোন এক চোরাকারবারী গুলিবিদ্ধ হয়ে একটি বেসরকারি হাসপাতালে ভর্তি আছে কিন্তু কোথায় সেটা জানা যায়নি। পরে শুনিছে সে মারা গেছে, তবে বিজিবির গুলিতে কিনা সেটা নিশ্চিত নয়।’
|