|
কলারোয়ায় যুবলীগের দুই গ্রুপ মুখোমুখিযেকোন সময় অপ্রীতিকর ঘটনা ঘটতে পারে
আজকের কলারোয়া -
05/04/2018
কলারোয়ায় পাল্টাপাল্টি অবস্থান নিয়েছে যুবলীগের দু’টি পক্ষ। দুই গ্রুপ মুখোমুখি হওয়ায় যেকোন সময় অপ্রীতিকর ঘটনাও ঘটতে পারে বলে আশংকাও করছেন স্থানীয়রা।
বাংলাদেশ আওয়ামী যুবলীগ সাতক্ষীরা জেলা শাখার যুগ্ম আহবায়ক মো. জহিরুল ইসলাম নান্টু স্বাক্ষরিত এক প্রেসবিজ্ঞপ্তিতে জেলা আহবায়ক কমিটির সদস্য পদ থেকে কাজী শাহাজাদাকে সাময়িক অব্যাহতি দেয়া ও কলারোয়া উপজেলা যুবলীগের ভারপ্রাপ্ত সভাপতি হিসেবে শেখ মাসুমুজ্জামান মাসুমকে দায়িত্ব দেয়ার পর এমন পরিস্থিতির সৃষ্টি হয়েছে।
ইতোমধ্যে প্রেসবিজ্ঞপ্তির বিষয়ে পক্ষে-বিপক্ষে অবস্থান নিয়েছেন কলারোয়া উপজেলা যুবলীগের দুটি গ্রুপ। কাজী সাহাজাদা ও শেখ মাসুমের নেতৃত্বে ওই দুটি গ্রুপ দৃশ্যত ও বাস্তবতায় মুখোমুখি অবস্থান নিয়েছেন। কাজী সাহাজাদাকে অব্যহতির খবরে আনন্দ-উল্লাস ও ফুলেল শুভেচ্ছা বিনিময় করেছেন মাসুমের নেতৃত্বে যুবলীগের একটি অংশ। অপরদিকে, মাসুমের বিরুদ্ধে প্রকাশ্য স্লোগান দিয়ে মিছিলসহ রাজনৈতিক কর্মযজ্ঞতায় নেমেছেন সাহাজাদার নেতৃত্বাধীন যুবলীগের আরেকটি অংশ।
বুধবার বিকেলে কলারোয়া থানার ওসি বিপ্লব কুমার নাথকে ফুলেল শুভেচ্ছা জানিয়েছে শেখ মাসুমুজ্জামান মাসুমের নেতৃত্বে যুবলীগসহ আ.লীগের বিভিন্ন অঙ্গ ও সহযোগি সংগঠনের নেতৃবৃন্দ। এর আগে দুপুরে শেখ মাসুমকে ফুলেল শুভেচ্ছা জানান অন্য নেতৃবৃন্দ। সেসময় উপস্থিত ছিলেন- উপজেলা যুবলীগের সাধারণ সম্পাদক আসাদুজ্জামান তুহিন, সড়ক পরিবহণ শ্রমিকলীগের সহ.সভাপতি শফিউল আযম শফি, ছাত্রলীগ নেতা শেখ মারুফ হোসেন জনি, পৌর যুবলীগের আহবায়ক জুলফিকার হোসেন প্রমুখ।
মাসুমের নেতৃত্বাধীন যুবলীগের কয়েকজন নেতা জানান- ‘জেলা যুবলীগের যুগ্ম আহবায়ক নান্টু ভাই ১নং সিনিয়র সহ.সভাপতি শেখ মাসুমুজ্জামান মাসুমকে উপজেলা যুবলীগের সভাপতি হিসেবে দায়িত্ব অর্পন করেছেন। আর তাই মাসুমের নেতৃত্বে উপজেলা যুবলীগ সংগঠিত ও দলকে এগিয়ে নিয়ে যাবে।’
অপরদিকে, সন্ধ্যার পর মাসুমের বিরুদ্ধে প্রকাশ্য স্লোগান দিয়ে বিক্ষোভ মিছিল করে সাহাজাদা গ্রুপের যুবলীগের নেতৃবৃন্দ। ‘হই হই রই রই, মাসুম তুই গেলি কই’-ইত্যাদি স্লোগানে মুখোরিত নেতাকর্মীদের মিছিলটি কলারোয়া বাজারের গুরুত্বপূর্ণ সড়ক প্রদক্ষিণ করে।
মিছিলে যুবলীগ, ছাত্রলীগসহ আ.লীগের বিভিন্ন অংগ-সহযোগি সংগঠনের নেতাকর্মীরা উপস্থিত ছিলেন।
কলারোয়া উপজেলা যুবলীগের সভাপতি কাজী আসাদুজ্জামান সাহাজাদ জানান- ‘জেলা যুবলীগের কথিত যুগ্ম আহবায়ক নান্টু নিজেই বহু আগে থেকেই যুবলীগ থেকে বহিষ্কৃত। বর্তমানে তিনি একজন ইয়াবা ব্যবসায়ী ও সেবনকারী। আমরা থানা ও জেলা যুবলীগের পক্ষ থেকে নান্টুর দেয়া পত্রটি ঘৃনাভরে প্রত্যখ্যান করি। পাশাপাশ বিষয়টি নিয়ে কাউকে বিভ্রান্ত না হওয়ার আহবান জানাচ্ছি।’
তিনি আরো জানান- ‘কথিত ওই নেতার প্রেসবিজ্ঞপ্তিতে ‘জেলা আহবায়ক কমিটির সদস্য’ পদ থেকে অব্যহতির কথা উল্লেখ করা হয়েছে আবার উপজেলায় আরেকজনকে দায়িত্ব দেয়া হয়েছে, যেটা শুধূ ভাষাগত সাংঘর্ষিক-ই নয়, বরং রাজনৈতিক শিষ্টাচার বহির্ভূত। কারণ আহবায়কের অনুপস্থিতিতে কেন্দ্রীয় কমিটি নান্টুকে ভারপ্রাপ্ত আহবায়ক হিসেবে দায়িত্ব দেন নি, কিংবা জেলা আহবায়ক কমিটিরও কোন সভা তাকে দায়িত্ব দেয়া হয়নি।’
|