Home
 
কলারোয়ায় নিরীহ দুই কাঠ মিস্ত্রি যুবককে আটক করে
টাকার বিনিময়ে ছেড়ে দিলেন এএসআই রুবেল

আজকের কলারোয়া - 23/09/2016
কলারোয়ায় শরিফুল ইসলাম (২৮) ও আমানুল্লাহ (২৪) নামে দুই নিরীহ কাঠ মিস্ত্রিকে আটকের পর ৫০ হাজার টাকার বিনিময়ে থানা থেকে ছেড়ে দিলেন থানার এএসআই রুবেল। বৃহস্পতিবার বিকাল ৪টার দিকে তাদেরকে পৌর সদরের নিজ বাড়ী ঝিকরা এলাকা থেকে আটক করে। আটককৃত শরিফুল ঝিকরা গ্রামের মোঃ ওমর আলীর ছেলে ও আমানুল্লাহ গদখালী গ্রামের বাবুর ছেলে। তারা দুইজনে মামাতো-ফুফাতো ভাই। বৃহস্পতিবার বাড়ীর পার্শ্ববর্তী ঝিকরা কোল্ড ষ্টোর মোড়ে এক দোকানে কাজ শেষে বাড়ী ফেরার পর তাদেরকে কলারোয়া থানার এএসআই রুবেল ৩/৪ জন কনেষ্টবলকে সাথে নিয়ে তাদেরকে মাদকসেবী হিসেবে আটক করে থানায় নিয়ে আসে। প্রতক্ষ্যর্দর্শী ও স্থানীয় বাসিন্দারা জানান, বিকাল ৪ টার দিকে সাদা পোশাকে কয়েকজন লোক ঝিকরা গ্রামে তাদের বাড়ীতে প্রবেশ করে। পরে ঘরের মধ্য থেকে কাঠ মিস্ত্রি শরিফুল ও আমানুল্লাহকে জোর পূর্বক টেনে হেছড়ে বের করার চেষ্টা করে এ সময় তারা ভয়ে না যেতে চাইলে হাতে থাকা লাঠি দিয়ে সাদা পোশাকে ঔ যুবকেরা তাদেরকে বেদম মারপিট করে। পরে তারা মটরসাইকেলে তুলে কলারোয়া থানায় নিয়ে যায় বলে তারা শুনেছেন। এ ঘটনা শুনে আকটকৃতদের স্বজনরা খোজ নিয়ে জানতে পারেন সাদা পোশাকে তাদেরকে নিয়ে আসা ব্যক্তি কলারোয়া থানার এএসআই রুবেল এবং সাথে ৩/৪ জন কনেস্টবল ছিলো। দুই যুবকের আটকের ঘটনা শুনে উপজেলায় কর্মরত সাংবাদিকরা থানার এএসআই রুবেলের সাথে মোবাইল ফেনে যোগাযোগ করলে তিনি জানান, তারা ঘরের মধ্যে মাদক সেবন করছিলো। সে জন্য তাদেরকে আটক করে থানায় নিয়ে আসা হয়েছে। তিনি আরো জানান, আটককৃতদের শুক্রবার মাদক দ্রব্য আইনে মামলা দায়ের করা হবে। এ দিকে তাদের ছাড়ানোর জন্য রাতে কয়েকজন দালালকে থানায় ঘোরাফেরা করতে দেখে সাংবাদিকদের সন্দেহ হলে খোজ নিয়ে জানাগেছে, আটক আমানুল্লাহ ও শরিফুলকে ৫০ হাজার টাকার বিনিময়ে কলারোয়া থানার বেপরোয়া এএসআই রুবেল তাদেরকে থানা হাজত থেকে ছেড়ে দিয়েছে। এ ঘটনা আটককৃত পরিবারের স্বজনদের সাথে যোগাযোগ করে এ ঘটনার সত্যতা পাওয়া যায়। কলারোয়া থানার একটি সূত্রে জানাগেছে, এএসআই রুবেল দুই কাঠ মিস্ত্রি যুবককে আটক করে ৫০ হাজার টাকা নিয়ে বৃহস্পতিবার রাত সাড়ে ১০ টা এবং রাত ১১ টার দিকে ছেড়ে দেয়া হয়েছে। এ বিষয়ে সাংবাদিকরা কলারোয়া থানার এএসআই রুবেলের কাছে ঘটনা সম্পর্কে জানতে চাইলে তিনি বলেন, আটক দুই যুবককের নিকট কোন মাদক সংক্রান্ত জিনিষ না পাওয়ায় তাদেরকে রাতে ছেড়ে দেয়া হয়। তবে টাকা নেয়ার বিষয়টি তিনি অস্বীকার করেন। এ বিষয়ে কলারোয়া থানার অফিসার ইনচার্জ (ওসি) ইমদাদুল হক শেখ জানান, এ বিষয়ে আমি কিছুই জানি না। তিনি বলেন, বৃহস্পতিবার দুপুর থেকে আমি অফিসের জরুরী কাজে থানার বাইরে ছিলাম। তবে বিষয়টি তিনি তদন্ত করে দেখবেন বলে সাংবাদিকদের জানান।


 



গন্তব্য কলারোয়া    
Product Image Product Image


 
    
Copyright : Kalaroa.com, 2019
Email : info@kalaroa.com