|
বীর মুক্তিযোদ্ধার নাম ও স্বাক্ষর জালিয়াতি করে মহা পুলিশ পরিদর্শকের নিকট লিখিত অভিযোগ
আজকের কলারোয়া -
02/01/2017
কলারোয়ায় বীর মুক্তিযোদ্ধা মোসলেম আলী হাজরা’র (৭০) নাম ব্যবহার ও স্বাক্ষর জাল করে একটি কু-চক্রী মহল মহা পুলিশ পরিদর্শক ঢাকা বরাবর কলারোয়া থানার অফিসার ইনচার্জ (ওসি) ইমদাদুল হক শেখসহ থানার পুলিশ সদস্যদের বিরুদ্ধে লিখিত অভিযোগ দেয়ার ঘটনায় মুক্তিযোদ্ধা মোসলেম আলী হাজরা গতকাল বিকালে কলারোয়া রিপোর্টার্স ক্লাবে সংবাদ সম্মেলন করে তার স্বাক্ষর জাল করার জন্য দৃষ্টান্ত মূলক শাস্তির দাবি জানিয়ে তিনি থানা পুলিশের বিরুদ্ধে কোন অভিযোগ না করার বিষয়ে সাংবাদিকদের অবহিত করেন।
বিকালে কলারোয়া রিপোর্টার্স ক্লাবে এক জণাকীর্ণ সংবাদ সম্মেলনে কলারোয়া উপজেলার কেড়াগাছি গ্রামের বীর মুক্তিযোদ্ধা মোসলেম আলী হাজরা লিখিত বক্তব্যে আরো বলেন, আমি আমার এক সহকর্মির মাধ্যমে জানতে পেরেছি কলারোয়া থানার ওসিসহ থানার কয়েকজন পুলিশ সদস্যের বিরুদ্ধে মহা পুলিশ পরিদর্শক, ঢাকা বরাবর আমার নাম ও স্বাক্ষর জাল করে ৬৭ জন ব্যক্তির নাম উল্লেখ করে এবং থানা পুলিশ তাদের নিকট থেকে চাঁদাবাজি করেছে এ ধরনের একটি লিখিত অভিযোগ দেয়া হয়েছে। সংবাদ সম্মেলনে তিনি এ বিষয়ে কিছুই জানেন না এবং এ ধরনের কোন ঘটনা কলারোয়া উপজেলায় ঘটেনি দাবি করে অবিযোগটি মিথ্যা ও বানোয়াট বলে দাবি করেন। তিনি বলেন, কোন কু-চক্রি মহল আমার নাম ব্যবহার করে এই কাজ করেছে। তিনি সাংবাদিক ভাইদের উদ্দেশ্যে বলেন, কলারোয়া থানার বর্তমান ওসি ইমদাদুল হক শেখ এবং থানার পুলিশ সদস্যরা কলারোয়া থানাকে মাদক, চোরাচালান ও জঙ্গি মুক্ত করার জন্য কঠোর পদক্ষেপ গ্রহন করায় ঐ কু-চক্রী মহল এ ধরনের কাজ করছে। তিনি এ ঘটনার তীব্র নিন্দা জানিয়ে বলেন, একজন মুক্তিযোদ্ধা হিসেবে আমি দৃড় কন্ঠে বলতে পারি কলারোয়া উপজেলায় কোন মানুষের নিকট থেকে পুলিশ প্রশাসন চাঁদাবাজী করেনি বরং তারা এলাকায় জঙ্গি, মাদকও সন্ত্রাসসহ বিভিন্ন অপকর্ম বন্ধের জন্য কঠোর পদক্ষেপ গ্রহন করেছে। যার ফলে ইতো মধ্যে কলারোয়া উপজেলা সদরসহ বিভিন্ন এলাকা এখন মাদক মুক্ত হওয়ায় সাধারণ মানুষের প্রশংসা অর্জন করেছে। তিনি লিখিত বক্তব্যে বলেন, আমি অধিকাংশ সময় বাড়িতে অবস্থান করি। যদি এমন চাঁদাবাজি বা পুলিশ্যের অত্যাচার হতো তাহলে এলাকার মানুষ আমার কাছে বলত কিন্তু আমি এখনো পর্যন্ত এ ধরনের কোন ঘটনা জানতে পারেনি। সংবাদ সম্মেলনে তিনি বলেন, আমি সাংবাদিক ভাইদের মাধ্যমে মাননীয় মহা পুলিশ পরিদর্শক, ঢাকা বরাবর জানতে চাই আমাকে না জানিয়ে একজন মুক্তিযোদ্ধার নাম ব্যবহার ও স্বাক্ষর জালিয়াতি করে লিখিত অভিযোগ দেয়ার ঘটনায় কারা জড়িত ? তাদের বিরুদ্ধে তিনি তদন্ত করার দাবি জানান। একই সাথে এ ঘটনা বিষয়ে তীব্র নিন্দা ও প্রতিবাদ জানান। সংবাদ সম্মেলনে লিখিত বক্তব্যে মুক্তিযোদ্ধা মোসলেম আলী হাজরা বলেন, এই মুখোশধারীদের ধারনা একজন মুক্তিযোদ্ধার নাম ব্যবহার করে তারা সুবিধা করতে পারবে। তিনি বলেন, বঙ্গবন্ধু কণ্যা বর্তমান প্রধান মন্ত্রী জণনেত্রী শেখ হাসিনা যখন বাংলাদেশকে বিশ্বের দরবারে মাথা উচু করে দাড়ানোর ব্যবস্থা করছে, দেশ যখন অর্থনৈতিক দিক দিয়ে এগিয়ে যাচ্ছে, মুক্তিযোদ্ধাদের তিনি বিশেষ মর্যাদা দিচ্ছে ঠিক এমন সময়ে এক জন মুক্তিযোদ্ধার নাম স্বাক্ষর জাল করে একটি সুবিধাবাদী চক্র নিজেদের ফয়দা লুটতে এ ধরনের অপকর্মে লিপ্ত হয়েছে। তিনি মাননীয় প্রধান মন্ত্রী জননেত্রী শেখ হাসিনার প্রতি একজন মুক্তিযোদ্ধা হিসেবে আবেদন করে বলেন, এই সুবিধাবাদী মহলকে চিহ্নিত করে তাদের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা গ্রহন করার দাবি জানান। সংবাদ সম্মেলনে সাংবাদিকদের বিভিন্ন প্রশ্নের জবাবে তিনি বলেন, আমার নাম ও স্বাক্ষর জাল করে যে অভিযোগ দেয়া হয়েছে সেই তালিকায় কাদের নাম আছে সেটিও আমি জানি না। আবার কেউ আমার কাছে কোন অভিযোগ করেনি। তিনি দাবি করে বলেন, কলারোয়া থানা পুলিশ কঠোর হওয়ায় ঐ সুবিধাবাদী মহল অপকর্ম করতে না পারায় তারা নিজেদের মত মনগড়া তালিকা তৈরী করে পুলিশ পরিদর্শক বরাবর লিখিত অভিযোগ দিয়ে সরকারের ভাবমুর্তি নষ্ট করার অপচেষ্টা করছে। এ বিষয়ে তিনি একজন মুক্তিযোদ্ধার নাম ও স্বাক্ষর জাল করার ঘটনায় সুষ্ঠ বিচারের দাবি করেছেন।
|