Home
 
কলারোয়া রিপোর্টার্স ক্লাবে সংবাদ সম্মেলন
ঘোলা পানিতে মাছ শিকারের চেষ্টা করছে

আজকের কলারোয়া - 24/08/2017
চেয়ারম্যানের নেতৃত্বে জমি দখলের বিষয়টি মনগড়া ও কাল্পনিক। জমি নিয়ে একাধিকবার মাপ জরিপ শলিস বৈঠকে দুই পক্ষের লিখিত মিমাংসিত বিষয় নিয়ে সুবিধাভোগিরা ঘোলা পানিতে মাছ শিকারের চেষ্টা করছে। ইউনিয়ন পরিষদকে বিতর্কের মধ্যে ফেলে সামাজিক শান্তি ভঙ্গ করতে ও এলাকার সুধিজনদের সুনাম ক্ষুন্ন কারীদের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা গ্রহনের দাবি জানাচ্ছি। কলারোয়া রিপোটার্সক্লাবে আয়োজিত সংবাদ সম্মেলনে এসব কথা বলেন, উপজেলার ১২ নং ইউপি চেয়ারম্যান মো: রবিউল হাসান। তার ইউনিয়নের কামারালী গ্রামে ‘পরিবারের ১০ সদস্যকে জিম্মি করে চেয়ারম্যানের নেতৃত্বে জমি দখল, শিরনামে প্রকাশিত সংবাদের প্রতিবাদে বৃহস্পতিবার দুপুরে তিনি এক সংবাদ সম্মেলন করেন। লিখিত বক্তব্যে তিনি আরও বলেন, স্থানীয় ও জাতীয় পত্র পত্রিকায় যে সংবাদ প্রকাশিত হয়েছে তাহা সম্পূর্ন মিথ্যা ও উদ্দেশ্য প্রনোদিত। প্রকৃত পক্ষে কামারালী গ্রামের বাবর আলির ছেলে মোকাররম আলি ও তার ভাই আবদুস সোবহানের ছেলে আবদুল খালেকের সাথে মাত্র দেড়শতক জমি নিয়ে বিরোধ চলে আসছিলো। বিষয়টি পৈত্রিক ভিটায় একই গোত্রের মধ্যে হওয়ায় আমার ইউপি কার্যালয়ের গ্রাম্য আদালতে অভিযোগ দায়ের হয়। দুই পরিবারের মধ্যে শান্তিপূর্ন পরিবেশ বাজায় রাখার স্বার্থে সার্ভেয়ার দিয়ে একাধিকবার পুরাতন ও নতুন ম্যাপ অনুযায়ী জমিটি মাপ জরিপ করা হয়। পরে ইউপি কর্যালয়ে সাপ্তাহিক আদালতের ধার্য দিনে উভায় পক্ষকে নিয়ে পরিষদের নয়জন ইউপি সদস্যদের উপস্থিতিতে শোনানী গ্রহন পূর্বক লিখিত আপোষনামায় আব্দুল খালেক ও মোকারম আলী সহি স্বাক্ষর করেন। গত ২৩ আহষ্ট মোকারম আলী শালিসে নিষ্পত্তিকরা তার অংশের জমিতে বাড়ির সীমানা প্রাচীর নির্মান করেন। কলারোয়া উপজেলা আওয়ামীলীগের দ্বিতীয় সারির এক নেতা জামায়াত শিবিরের পৃষ্টপোষক। কাজ চলাকালীন আব্দুল খালেক মোটা অংকের টাকায় তাকে ম্যানেজ করে। ছয়টি নাশকতা মালার আসামী আবদুল খালেক তার দলকে সহায়তাকরা ওই নেতার পরামর্শে বানোয়াট ও অসত্য অভিযোগ সৃষ্টি করে সংবাদ কর্মীদের কাছে সরবরাহ করেছে। সমাজে যা সুশাসন পত্রিষ্টায় অন্তরায় বলে আমি মনে করি। বলেন মঙ্গলবার চেয়ারম্যান কয়েক গ্রামে খবর দিয়ে তার সহযোগী জামায়াত ও শিবির থেকে হঠাৎ আওয়ামী লীগে নাম লেখানো শতাধিক ক্যডার ভাড়া করে আনেন। মঙ্গলবার সন্ধ্যায় তাদের জড়ো করা হয়। বুধবার ভোরে তারা শুরু করে প্রাচীর নির্মান। লাইসেন্স করা অন্ত্র ও ক্যাডার বাহিনী নিয়ে উপস্থিত থেকে জমি দখলের যে খবর প্রকাশিত হয়েছে তার কোন সত্যতা নেই। সংবাদ সম্মেলনে চেয়ারম্যান রবিউল হাসান জানান, ঘটনার সময় তিনি ব্যক্তিগত কাজে বাইরে ছিলেন। ঘটনার সময় খবর পেয়ে স্থানীয় প্রশাসনকে জমির প্রকৃত কাগজপত্র যাচাই ও ইউনিয়ন পরিষদের শালিশনামা অনুযায়ী প্রয়োজনীয় পদক্ষেপ গ্রহনের অনুরোধ করেন। পরে এলাকায় ফিরে খোজ নিয়ে জানতে পারেন প্রাচীর নির্মান নিয়ে মারামারি বা কাউকে বাড়ির মধ্যে অবরুদ্ধ করার ঘটনা ঘটেনি। পূর্ব শত্রতার জের ধরে এলাকার এরশাদ বাহিনীর লোকজন তার ও ইউনিয়ন পরিশদের সকল সদস্যদের সস্মান নষ্ট করার জন্য এসব করে থাকতে পারে বলে তার ধারনা। এসব কুচক্রী মহল থেকে এলাকার সাধারণ জনসাধরনকে দুরে থাকতে তিনি অনুরোধ করেন। একই সাথে জামায়াত শিবিরের নাশকতা কারীদের বিরুদ্ধে তদন্ত পূর্বক আইনগত ব্যবস্থা গ্রহনের জন্য তিনি থানা পুলিশসহ যথাযথ কর্তৃপক্ষের নিকট অনুরোধ জানিয়েছেন। এসময় সংবাদ সম্মেলনে উপস্থিত ছিলেন, ১২ নং যুগীখালী ইউনিয়ন আওয়ামীলীগের সভাপতি মো: আবুল বাশার, ইউপি সদস্য আমিরুল ইসলাম, আব্দুল জলিল, আব্দুল রশিদ, আবু বক্কর ছিদ্দিক, আব্দুল জব্বার, মফিজুল ইসলাম, সাহাজান আলী, মাছুরা খাতুন, সাজেদা খাতুন প্রমুখ।


 



গন্তব্য কলারোয়া    
Product Image Product Image


 
    
Copyright : Kalaroa.com, 2019
Email : info@kalaroa.com