Home
 
''আমার কোমরে ব্যাথা, আমি আর এ পথ
দিয়ে যেতে চাই না''

আজকের কলারোয়া - 25/08/2017
কলারোয়ায় সরকারের উন্নয়ন কর্মকান্ড চাপা পড়েছে সড়কের নীচে। পিচ ঢালা সড়ক, মহাসড়কগুলি বর্ণ পরিবর্তন হয়ে লাল এবং খানাখন্দে পরিণত হয়েছে। সড়কগুলি যেন মৃত্যু ফাঁদ। সম্প্রতি টানা বর্ষণে কলারোয়া উপজেলা সদরের সাতক্ষীরা-ঢাকা মহাসড়ক ও কলারোয়া-কেশবপুর সড়ক থেকে ইট, খোয়া উঠে বড় বড় গর্তের সৃষ্টি হওয়ায় প্রতিদিনই ঘটছে একাধিক দুর্ঘটনা। বর্তমানে এলাকার মানুষ মৃত্যুঝুঁকি নিয়ে চলাচল করছে। এ জন্য তারা সাতক্ষীরা সড়ক ও জনপদ বিভাগের কর্মকর্তাদের চরম গাফিলতি এবং উদাসিনতাকে দায়ী করেছেন। গত দেড় বছর আগে বিমান ও পর্যটন মন্ত্রী রাশেদ খাঁন মেনন সাতক্ষীরা জেলায় এসেছিলেন। এসময় তিনি সাতক্ষীরা জেলা প্রশাসনের সম্মেলন কক্ষে পর্যটন বিষয়ক এক সেমিনারে প্রধান অতিথির বক্তব্যে বলেছিলেন, যশোর বিমান বন্দর থেকে নেমে সড়ক পথে গাড়ি যোগে সাতক্ষীরা আসতে আমার কোমরে ব্যাথা হয়েছে, আমি আর এ পথ দিয়ে যেতে চাই না। এছাড়া সম্প্রতি সাতক্ষীরায় এক অনুষ্ঠানে সাবেক স্বাস্থ্য মন্ত্রী ডা: আ ফ ম রু হুল হক এমপি বলেন, জেলায় সড়কের অবস্থা খুবই খারাপ। চলাচলের অনুপযোগী রাস্তার কারণে সরকারের সকল উন্নয়ন এখানে অম্লাান হয়ে যাচ্ছে। এ ধরনের মন্তব্যের পরও সড়কগুলি সংস্কার করার কোনো উদ্যোগ গ্রহন করেনি সাতক্ষীরা সড়ক ও জনপদ বিভাগ। কলারোয়া উপজেলা প্রকৌশলী আব্দুল্লাহ আল মামুন জানান, সম্প্রতি চলমান বৃষ্টির কারণে কলারোয়া-সাতক্ষীরা, কলারোয়া-ঢাকা মহাসড়ক ও করারোয়া থেকে কেশবপুর সড়ক চলাচলের অনুপযোগী হলেও আমাদের কিছুই করনীয় নেই। তিনি বলেন, এই সড়কগুলি সড়ক ও জনপদ বিভাগের আওতাধীন। কলারোয়া উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা উত্তম কুমার রায় জানান, কলারোয়া উপজেলার জরাজীর্ণ সড়কগুলি জরুরি ভিত্তিতে মেরামত করার জন্য উর্ধ্বতন কর্তৃপক্ষের নিকট অবহিত করা হয়েছে। এ বিষয়ে সাতক্ষীরা সড়ক ও জনপথ বিভাগের নির্বাহী প্রকৌশলী মনজুরুল করিমের সাথে একাধিকবার যোগাযোগ করার চেষ্টা করেও কথা বলা সম্ভব হয়নি।


 



গন্তব্য কলারোয়া    
Product Image Product Image


 
    
Copyright : Kalaroa.com, 2019
Email : info@kalaroa.com