|
কলারোয়ার ইলিশপুরের পৃথুলা,“ডটার অব বাংলাদেশ ” খ্যাত কো-পাইলট শহীদ বুদ্ধিজীবী কবরস্থানেসমাধিস্ত
আজকের কলারোয়া -
21/03/2018
রাজধানী ঢাকার মিরপুরের শহীদ বুদ্ধিজীবী কবরস্থানে সমাধিস্ত করা হয়েছে সেই “ডটার অব বাংলাদেশ ” খ্যাত দেশ বরেন্য বীর কো-পাইলট কলারোয়ার ইলিশপুরের মেয়ে পৃথুলা রশিদ।
গত ১২ মার্চ সোমবার বিধ্বস্ত হওয়া ইউএস বাংলা এয়ারলাইন্সের সহকারি পাইলট ছিলেন পৃথুলা রশিদ। বেঁচে আসা নেপালি যাত্রীরা জানিয়েছিলেন- ১০ জন নেপালি যাত্রীকে মৃত্যুর হাত থেকে বাঁচিয়ে নিরাপদে সরিয়ে নেন তিনি। তাদের বাঁচানোর চেষ্টা করতে করতেই মর্মান্তিক মৃত্যু হয় পৃথুলা রশিদের।
এজন্য নেপাল ভিত্তিক বিভিন্ন গণমাধ্যম ও সামাজিক মাধ্যমে এই বীর নারীকে ‘ডটার অব বাংলাদেশ’ আখ্যা দিয়ে শ্রদ্ধা জানিয়ে এ তথ্য জানানো হয়েছে।
গত সোমবার তাঁর মরদেহ নেপাল থেকে ঢাকায় নিয়ে আসা হয়। পরে আর্মি স্টেডিয়াম ও শ্যামলীতে পৃথক নামাজে জানাজা শেষে মরহুমা পৃথুলা রশিদকে মিরপুরের শহীদ বুদ্ধিজীবী কবরস্থানে দাফন করা হয়।
সাতক্ষীরার কলারোয়া উপজেলার ইলিশপুর গ্রামে চাচাতো দাদা মৃত্যু আব্দুল মজিদ মোল্যার পরিবার তথা পৃথুলার চাচা মো: শহিদুল ইসলাম আলাল জানান- পৃথুলার দাদা মৃত্যু আব্দুর রশিদ পূর্ব পাকিস্তান এবং দেশ স্বাধীনের পর বঙ্গবন্ধুর সংসদের ত্রান মন্ত্রী মাগুরার সোহরাব হোসেনের পিএস ছিলেন। সেই সুবাদে পৃথুলার বাবা আনিসুর রশিদ কাজল ঢাকার পীরেরবাগে বড় হয়েছে এবং ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের অর্থনীতি বিভাগ থেকে অনার্স মাষ্টার্স করে রাশিয়া থেকে পিএইচডি ডিগ্রী লাভ করে বিভিন্ন দেশে চাকুরী করেছেন।
পৃথুলার মা আফরোজা বেবী মানিকগঞ্জের মেয়ে। শিক্ষা জীবনে ঢাকাবিশ্ব বিদ্যালয়ের বাংলা বিভাগ থেকে অনার্স মাষ্টার্স করে বর্তমানে আশা এনজিও’র সহকারী পরিচালক হিসাবে নিয়োজিত আছেন। পৃথুলা রশিদের এমন মৃত্যু মেনে নিতে পারছেন না কেউই। একমাত্র সন্তানকে হারিয়ে বাকরুদ্ধ পিতা-মাতা সহ স্বজনেরা। খুব শীঘ্রই ছুটি নিয়ে গ্রামের বাড়ি আসার কথা ছিল তার। কথা ছিলো আসছে আমের মৌসুমে বাড়িতে এসে আম খাবে। এরই মাঝে চিরনিদ্রায় শায়িত হলো মিরপুর শহিদ বুদ্ধিজীবী কবরস্থানে।
উল্লেখ্য, লন্ডন গ্রেজ এন্টার ন্যাশন্যাল থেকে ও এবং এ লেবেল অর্জনকারী ঢাকা নর্থ সাউথ বিশ্ববিদ্যালয় থেকে এমবিএ এবং আমিব্যাং এভিয়েশন থেকে উড্ডয়ন ডিগ্রি নিয়ে ২০১৬ সালের জুলাইয়ে সহকারি পাইলট হিসাবে ইউএস বাংলা এয়ার লাইন্সে যোগদান করেছিলেন। এ বীর পাইলটকে হারানো বাংলাদেশের জন্য এক অপুরনীয় ক্ষতি।
|