|
কলারোয়ার হিজলদী মাধ্যমিক বিদ্যালয়ে দপ্তরি নিয়োগ ১৪ লাখ টাকা ঘুষ !!
আজকের কলারোয়া -
29/03/2018
কলারোয়া উপজেলার হিজলদী মাধ্যমিক বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষক ও বিদ্যালয় পরিচালনা কমিটির সভাপতির বিরুদ্ধে ১৪ লাখ টাকা ঘুষ নিয়ে দপ্তরি নিয়োগ দেয়ার গুরুতর অভিযোগ করা হয়েছে। হিজলদী গ্রামের মো: সিরাজুল ইসলাম সাংবাদিকদের নিকট এ লিখিত অভিযোগ করেন। গত ২৩ মার্চ স্থানীয় হিজলদী গ্রামের আক্তারুজ্জামানকে টাকার বিনিময়ে এ নিয়োগ দেয়া হয়েছে বলে তিনি জানান।
উপজেলার হিজলদী গ্রামের মো: সিরাজুল ইসলাম জানান, হিজলদী মাধ্যমিক বিদ্যালয়ে দপ্তরি নিয়োগের জন্য ২০১৬ সালের ১২ জুলাই স্থানীয় একটি পত্রিকায় নিয়োগ বিজ্ঞপ্তি দেয়া হয়। পরে আবেদনকারীদের একই বছরের ৭ অক্টোবর নিয়োগ পরিক্ষা গ্রহন করা হবে বলে বিদ্যালয় থেকে জানানো হয়। তিনি বলেন, সে সময় বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষক আমিরুল ইসলাম ও পরিচালনা কমিটির সভাপতি মিজানুর রহমানের বিরুদ্ধে মোটা অংকের অর্থ বানিজ্যের অভিযোগ ওঠে। পরে এ বিষয়ে সাতক্ষীরা জেলা প্রশাসক মহোদয়কে অবহিত করা হলে তিনি বিদ্যালয়ে দপ্তরি নিয়োগ স্থগিত ঘোষনা করে নির্দেশনা জারী করেন। কিন্তু প্রধান শিক্ষক ও পরিচালনা কমিটির সভাপতি কৌশলে নির্ধারিত নিয়োগ পরীক্ষার দিন প্রার্থীদের নিয়োগ স্থগিত করা হয়েছে। পরে পরিক্ষার তারিখ জানানো হবে।
তিনি আরো বলেন, সম্প্রতি প্রধান শিক্ষক ও সভাপতি স্থানীয় সাতক্ষীরার একটি পত্রিকায় দ্বিতীয়বার বিদ্যালয়ের দপ্তরি পদে নিয়োগ বিজ্ঞপ্তি দেন। তিনি অভিযোগে বলেন, মাধ্যমিক বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষক আমিরুল ইসলাম ও পরিচালনা কমিটির সভাপতি মিজানুর রহমান ১৪ লাখ টাকা ঘুষ নিয়ে হিজলদী গ্রামের আক্তারুজ্জামান আক্তারকে চুড়ান্ত নিয়োগ প্রদানের জন্য অন্য আবেদনকারীদের না জানিয়ে গত ২৩ মার্চ কৌশল অবলম্বন করে তিন জন আবেদকারীর উপস্থিতিতে পরীক্ষা গ্রহন এবং আক্তারুজ্জামান আক্তারকে নিয়োগ প্রদান করেন। অভিযোগে তিনি অবিলম্বে অবৈধ নিয়োগ বাতিলে সাতক্ষীরা জেলা প্রশাসকসহ সংশ্লিষ্ঠ কতৃপক্ষের হস্থক্ষেপ কামনা করেন।
এ বিষয়ে হিজলদী মাধ্যমিক বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষক আমিরুল ইসলাম ১৪ লাখ টাকা ঘুষ গ্রহনের বিষয়ে অস্বীকার করে বলেন, সকল বিধি অনুযায়ী নিয়োগ পরিক্ষা সম্পন্ন হওয়ার পর যোগ্যতা সম্পন্ন প্রার্থীকে নিয়োগ দেয়া হয়েছে। তিনি জানান, সকল প্রার্থীকে পরীক্ষার তারিখ জানানো হয়েছে। পরীক্ষায় মোট ৪ জন আবেদনকারীরর মধ্যে ৩জন উপস্থিত ছিলেন। এছাড়া নিয়োগ বোর্ডে উপস্থিত ছিলেন ডিজি প্রতিনিধি, উপজেলা মাধ্যমিক শিক্ষা কর্মকর্তাসহ পাঁচজন। তিনি বলেন এসব ব্যাক্তিরাই তাদের পরীক্ষা গ্রহণ করেন।
কলারোয়া উপজেলা মাধ্যমিক শিক্ষা কর্মকর্তা আব্দুল হামিদের সাথে যোগাযোগ করা হলে তিনি বলেন, এ বিষয়ে স্কুলের প্রধান শিক্ষকের সাথে কথা বলেন। আমি কিছুই জানি না।
|