Home
 
কলারোয়ায় গাঁজাসহ দুই মাদক ব্যবসায়ী আটক
৬০ হাজার টাকায় এক জনের মুক্তি !!

আজকের কলারোয়া - 24/04/2018
কলারোয়ায় গাঁজাসহ দুই মাদক ব্যবসায়ীকে আটক পরে ৬০ হাজার টাকার বিনিময়ে এক মাদক ব্যবসায়ীকে ছেড়ে দিয়েছে খোরদো পুলিশ ফাড়ির এএসআই এজাজা মাহামুদ। মঙ্গলবার বেলা সাড়ে ১২ টার দিকে খোরদো বাজারের হৃদয় সিনেমা হল সংলগ্ন হেলালের চায়ের দোকান থেকে তাদেরকে আটক করা হয়। খোরদো বাজারের কয়েকজন ব্যবসায়ী ও ঘটনার সময় পুলিশ ফাড়িতে অবস্থান করা এক ব্যাক্তি নাম প্রকাশ না করার শর্তে জানান, মঙ্গলবার বেলা সাড়ে ১২টার দিকে খোরদো পুলিশ ফাড়ির এএসআই এজাজ মাহামুদ বাজারের পুরাতন সিনেমা হল সংলগ্ন হেলালের চায়ের দোকানের পাশ থেকে গাঁজাসহ উপজেলার ছলিমপুর গ্রামের মো: খোকনের ছেলে মাদক ব্যবসায়ী গালিব (২৫) ও উলুডাঙ্গা গ্রামের আলমগীর হোসেনের ছেলে শুভ (২২) কে আটক করে ক্যাম্পে নিয়ে যায়। তারা বলেন, এ ঘটনা জানাজানি হলে দেয়াড়া ইউনিয়নের ইউপি সদস্য কাওছার আলী (পুলিশের সোর্স, এলাকার জিরো কাওছার নামে পরিচিত) দুপুর ২ টার দিকে পুলিশ ফাড়িতে যান এবং মাদক ব্যবসায়ী গালিবকে ছাড়িয়ে নিয়ে আসেন। এসময় তিনি ইউনিয়নের অন্য এক ইউপি সদস্যকে মোবাইল ফোনে জানান, এএসআই এজাজা ৬০ হাজার টাকা দিয়ে গালিবকে ছেড়ে দিয়েছে তবে শুভ’র পরিবার অল্প কিছু টাকা দেয়ায় তার বিরুদ্ধে মাদক সেবীর মামলা দেয়া হবে বলে এএসআই এজাজ তাকে জানিয়েছে। স্থানীয় ব্যাবাসায়ীরা আরো জানান, খোরদো এলাকায় প্রতিদিন এ ধরনের ঘটনা ঘটছে। ফাড়ির পুলিশ বেপরোয়া চাদাবাজী করলেও কেউ প্রতিবাদ করতে সাহস পায়না। তারা অভিযোগ করে বলেন, পত্রিকায় কলারোয়ার বিভিন্ন অনিয়ম লেখা হয় কিন্তু খোরদো ফাড়ি পুলিশের বেপরোয়া চাদাবাজীর বিষয়ে কেউ কিছুই লেখে না। সাংবাদিক পরিচয় শুনে এসব মানুষেরা দাবি করে বলেন আজকের ঘটনাসহ ফাড়ি পুলিশের অত্যাচার ও স্থানীয় ইউপি সদস্য কাওছার আলীর চোরাকারবারী ব্যবসার বিষয়ে সাতক্ষীরা এসপি স্যার কে জানালে আমরা কৃতজ্ঞ থাকবো। এবিষয়ে ইউপি সদস্য কাওছার আলী কোন মন্তব্য করতে রাজি হননি। তবে তিনি বলেন, ভাই সব বিষয়ে খোজ নিলে হয়, আপনাদের সাংবাদিক ভাইদের খুশি করার ব্যবস্থা করছি। অভিযুক্ত এএসআই এজাজ মাহমুদ টাকা নেয়ার বিষয়টি অস্বীকার করে জানান, আটকের পর গালিবের কাছে কিছুই পাওয়া যায়নি। এটা ভুল বুঝাবুঝি ছিলো সেজন্য ইউপি সদস্য কাওছার আলী তাকে ফাড়ি থেকে নিয়ে গেছে। তবে তাকে আটক করে প্রায় দুই ঘন্টা ফাড়ির হাজতে রাখা হয়েছিলো এ বিষয়ে জানতে চাইলে তিনি ক্ষিপ্ত হয়ে বলেন, আমরা কি করবো সেটাও আপনাদের জানাতে হবে ? তিনি বিষয়টি নিয়ে বেশি বাড়াবাড়ি করবেনা। খোরদো পুলিশ ফাড়ির ইনচার্জ (আইসি) এসআই সিরাজুল ইসলাম জানান, আমি ফাড়ির বাইরে আছি, ফাড়িতে যেয়ে বিস্তারিত বলতে পারবো। কলারোয়া থানার অফিসার ইনচার্জ (ওসি) বিপ্লব দেব নাথ জানান, আমি এ বিষয়ে কিছুই জানি না। তবে বিষয়টি খতিয়ে দেখবো। ঘটনা প্রমানিত হলে তার বিরুদ্ধে ব্যবস্থা গ্রহন করা হবে।


 



গন্তব্য কলারোয়া    
Product Image Product Image


 
    
Copyright : Kalaroa.com, 2019
Email : info@kalaroa.com